আবারো বাড়তে চলেছে Airtel-এর রিচার্জ খরচ, সংস্থার নতুন ভাবনার কথা জানালেন সিইও গোপাল ভিট্টল
গত বছরের শেষের দিকে Jio, Airtel এবং Vi-এর মত বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলি তাদের সমস্ত প্রিপেইড প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে।...গত বছরের শেষের দিকে Jio, Airtel এবং Vi-এর মত বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলি তাদের সমস্ত প্রিপেইড প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে। এতে গ্রাহক মহলে বেশ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ মূল্যবৃদ্ধির এই জমানায় রিচার্জ করতে গিয়েও মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে! তবে মনে হচ্ছে অস্বস্তির এখানেই শেষ নেই, বরঞ্চ Airtel (এয়ারটেল) ব্যবহারকারীরা খুব শীঘ্রই আরেকটি ধাক্কা পেতে পারেন। আসলে ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ নেটওয়ার্ক কোম্পানিটি আবারও তাদের প্রিপেইড প্ল্যানের দাম বাড়াতে চলেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিইও গোপাল ভিট্টল। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন! কিন্তু ঠিক কী কারণে Airtel-এর এই সিদ্ধান্ত? আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিই…
ফের বাড়ছে Airtel-এর রিচার্জ প্ল্যানের দাম
ভিট্টলের মতে, এই বছর অর্থাৎ ২০২২ সালেই সংস্থার প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়তে পারে। আসলে এখন কোম্পানি এআরপিইউ (ARPU) বা গড় আয় ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়াতে চাইছে। তাছাড়া ইটি (ET)-র রিপোর্ট বলছে, টেলিকম নিয়ন্ত্রক নির্ধারিত ৫জি (5G)-র বেস প্রাইসে এয়ারটেল খুশি নয়। তাই সংস্থাটি নিজের লাভ বাড়ানোর রাস্তা খুঁজছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তিনটি টেলিকম অপারেটর তাদের প্রিপেইড প্ল্যানের দাম ১৮ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছিল। আর রিচার্জ শুল্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এয়ারটেল ছিল প্রথম সংস্থা। তবে এক্ষেত্রে সংস্থাটি নতুন করে কতটা ট্যারিফ বাড়াতে চাইছে, তা এই মুহূর্তে জানা যায়নি।
এয়ারটেল সিইও শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে বলেছেন যে, তাদের অর্জিত শুল্কের পরিমাণ এখনও খুব কম। সেক্ষেত্রে সংস্থার প্রয়োজনীয় এআরপিইউ পেতে অর্থাৎ ২০০ টাকা অবধি গড় আয় নিয়ে যেতে হলে তাদের একবার শুল্ক বাড়াতে হবে। যদিও গ্রাহকরা এই ধাক্কা সহ্য করতে পারবে বলেই ভিট্টল মনে করছেন। কারণ গত বছর শুল্ক বৃদ্ধির পরেও, বিগত তিন মাসে এয়ারটেল গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে এর রিচার্জ ব্যয়বহুল হওয়ার ফল কী হতে চলেছে – তা বলবে সময়ই!