Toyota Yaris Cross গাড়িকে দেখা গেল দেশের রাস্তায়, সত্যিই কি লঞ্চ হবে, নাকি অন্য উদ্দেশ্য?

ভারতের রাস্তায় হামেশাই নিত্যনতুন গাড়ির ট্রায়াল চালাতে দেখা যায়। তেমনই এবারে প্রসিদ্ধ জাপানি বহুজাতিক গাড়ি সংস্থা টয়োটা (Toyota) তাদের এক নতুন গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে পরীক্ষা শুরু করার খবর সামনে এল। গুরুগ্রামে পুরোদস্তুর ক্যামোফ্লেজ অবস্থায় সেই গাড়িটিকে দেখে মনে করা হচ্ছে এটি Toyota Yaris Cross। যা আর্ন্তজাতিক বাজারে উপলব্ধ এবং সুনামের সাথে নানা দেশে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সামনের মাসেই সংস্থাটি Urban Cruiser Hyryder এসইউভি লঞ্চের প্রস্তুতিপর্ব সেরে রেখেছে। তাই একই সেগমেন্টে Yaris Cross ভারতে আদৌ লঞ্চ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

উল্লেখ্য, টয়োটা এবং মারুতি সুজুকি উভয় সংস্থা গাড়ির গবেষণা ও উন্নয়নে জোট বেঁধেছে। অর্থাৎ নতুন গাড়ি তৈরিতে একে অপরকে সাহায্য করার চুক্তি করেছে তারা। এদিকে, Yaris Cross-কে এই প্রথমবার ভারতের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে, তেমন নয়। এর আগেও এটির দর্শন পাওয়া গিয়েছিল। তবে যতদূর সম্ভব এদেশে গাড়িটিকে লঞ্চের পরিকল্পনা নেই টয়োটার। কারণ Urban Cruiser Hyryder ও Yaris Cross দুটোই মিড-সাইজ এসইউভি। যাদের দৈর্ঘ্যও সমান, প্রায় ৪.২ মিটার। ফলে কম্পোনেন্ট টেস্টিংয়ের জন্য গাড়িটি চালানো হচ্ছে বলেই ধরে নেওয়া যায়।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, Yaris Cross গাড়িটি Yaris-এর রাগেড ভার্সন নয়, যেটি আগে ভারতের বাজারে বিক্রি করা হতো। টয়োটা Yaris গাড়ির বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে, যা একটি মিড সাইজ সেডান মডেল ছিল। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে Yaris গাড়িটি একটি হ্যাচব্যাক এবং ক্রসওভার এসইউভি হিসেবে বিক্রি করে টয়োটা। হ্যাচব্যাক মডেলটির নাম Yaris এবং এসইউভি ভার্সনের নাম Yaris Cross। ডিজাইনের দিক থেকেও দুটি গাড়ি সম্পূর্ণ আলাদা।

বিশ্ববাজারে Yaris Cross একটি ১.৫ লিটার, থ্রি-সিলিন্ডার পেট্রল ইঞ্জিন এবং একটি ইলেকট্রিক মোটরের সহাবস্থানে বিক্রি করা হয়। সহজ ভাবে বললে, এটি একটি হাইব্রিড গাড়ি। ইঞ্জিন থেকে উৎপন্ন হয় সর্বোচ্চ ৯১ এইচপি শক্তি এবং ১২০ এনএম টর্ক। তবে উপস্থিত ইলেকট্রিক মোটরের সহায়তায় আউটপুট বেড়ে ১১৬ এইচপি হয়। এতে রয়েছে একটি সিভিটি অটোমেটিক ট্রান্সমিশন।