বিশ্বজুড়ে চলা চিপ সংকট কাটাতে Bosch এগিয়ে এল, 24,000 কোটি টাকার বেশি লগ্নি করবে

করোনা অতিমারি পর্ব ও রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ এই দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে নাজেহাল সমগ্র বিশ্বের গাড়ি শিল্প। বর্তমানের সেন্সর নির্ভর টু-হুইলার কিংবা ফোর-হুইলারগুলির জীবনীশক্তি লুকিয়ে আছে সেমিকন্ডাক্টর চিপের মধ্যে। এই চিপ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় গাড়ির বহু কার্যকলাপ। আর গত দেড়-দুই বছর ধরে এই সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরির সামগ্রীর চরম আকাল গোটা পৃথিবীতে। বাধ্য হয়ে বহু সংস্থা ডেলিভারি দিতে বিলম্ব করছে । কিছু নির্মাতা আবার তাদের মডেলে পূর্বে উল্লিখিত প্রযুক্তিগত কিছু বৈশিষ্ট্যের কাটছাঁট করছে।

এমতাবস্থায় প্রখ্যাত জার্মান বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা , বশ (Bosch) মাইক্রোচিপ উৎপাদনের জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ইউরো (২৪,০০০ কোটি টাকার বেশি) বিনিয়োগের কথা জানাল। জার্মানির ড্রেসডেনে ওয়েফার তৈরির কারখানার উন্নতির পাশাপাশি আরও দুটি নতুন উৎপাদন কেন্দ্র খুলবে বশ। এই কাজে তাদেরকে অর্থ সাহায্য করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এই বিনিয়োগের ফলে চিপ উৎপাদন ক্ষেত্রে বিশ্বের মানচিত্রে আমেরিকা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া আধিপত্য কমে ইউরোপের ভূমিকা বাড়বে। এই প্রসঙ্গে বোশের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার স্টিফান হার্তুং বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর চিপ  শিল্পে ইউরোপ অবশ্যই তার সামর্থের সদ্ব্যবহার করতে পারবে। এই পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত ইউরোপীয় শিল্পের জন্য চিপের নির্দিষ্ট চাহিদাকে পূরণ করা।”

উল্লেখ্য, বশ গত বছর ড্রেসডেনে প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরোপ লগ্নি করে চিপ তৈরির ফেসিলিটি গড়ে তুলেছিল। আর এখন বিশ্ব বাজারে সেলফ ড্রাইভিং ও বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত চিপের বাজার দখলের ছক কষছে সংস্থাটি। ১৭০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা হবে রয়েটলিঙ্গন ও ড্রেসডেনে নতুন ডেলেলপমেন্ট তৈরির কাজে। এর পাশাপাশি ড্রেসডেনের পুরনো ম্যানুফ্যাকচারিং ফেলিলিটির ব্যবস্থা উন্নত করতে আরো ২৫০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হবে।