Maruti Suzuki-র গাড়ির চাহিদা আকাশছোঁয়া, কত অর্ডার জমে শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর চিপের অপ্রতুলতার কারণে বুকিংয়ের পাহাড় একটি অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গাড়ি সংস্থাগুলির কাছে। ভারতের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র ক্ষেত্রেও যার অন্যথা ঘটেনি। বর্তমানে সংস্থার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে ৩.৮৭ লক্ষ অর্ডারের স্তুপ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে যার পরিমাণ ২.৮০ লক্ষ থাকলেও এখন তা বেড়ে ৩.৮৭ লক্ষে পৌঁছেছে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে সদ্য লঞ্চ হওয়া নতুন Brezza এবং সম্প্রতি উন্মোচিত হওয়া Grand Vitara গাড়ি জোড়া।

গত ২০ জুলাই Grand Vitara হাইব্রিড এসইউভি মডেলটির উপর থেকে পর্দা সরিয়েছিল মারুতি সুজুকি। বর্তমানে মারুতি সুজুকির বার্ষিক গাড়ি উৎপাদনের সক্ষমতা প্রায় ২৩ লক্ষ ইউনিট। যার মধ্যে গুরগাঁওয়ের একটি কারখানায় তৈরি হয় বছরে ৭ লক্ষ গাড়ি। এছাড়া মানেসার এবং গুজরাতের হনসলপুরে দুটি কারখানা রয়েছে তাদের। যার বছরে যথাক্রমে ৮.৮০ লক্ষ এবং ৭.৫০ লক্ষ গাড়ি উৎপাদন হয়।

এদিকে সম্প্রতি Alto K10 লঞ্চের সময় সংস্থার ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, তাদের মোট বুকিংয়ের ৩৩ শতাংশ সিএনজি মডেল জুড়ে রয়েছে। সংখ্যায় যা প্রায় ১.২৬ লক্ষ ইউনিট। বর্তমানে মারুতি সুজুকির Alto, S-Presso, WagonR, Swift, Dzire, Tour-S, Celerio, Ertiga এবং Eeco – গাড়িগুলি সিএনজি মডেলে বেছে নেওয়া যায়।

পাশাপাশি, এই তথ্যও প্রকাশিত হয়েছে যে, Brezza লঞ্চের পর প্রায় ৯০,০০০ বুকিং পেয়েছিল। যার মধ্যে ৭০,০০০ পেন্ডিং রয়েছে। অন্যদিকে মাঝারি আকারের Grand Vitara ৪০,০০০-এর বেশি অর্ডার পেয়েছে। সেপ্টেম্বরে লঞ্চের সাথে সাথেই গাড়িটির ডেলিভারি শুরু করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মারুতি সুজুকি। প্রসঙ্গত, সমগ্র বিশ্বে চিপের অভাবের কারণে ১৮ মাস পরও নিজের স্বমহিমায় ফিরতে বাধা সৃষ্টি করছে সংস্থাটিকে। কবে তারা নিজেদের ১০০% উৎপাদন শুরু করতে পারবে তার সময়কাল সম্পর্কে কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি।