চীনা প্রোডাক্ট বিক্রি রুখতে সরকারের চতুর পদক্ষেপ, চাপে পড়বে গুগল থেকে অ্যামাজন
এবার অস্বস্তির মুখে পড়তে চলেছে অ্যামাজন বা গুগলের মত জনপ্রিয় সংস্থাগুলি। আসলে ভারত-চীন উত্তেজনার পর থেকেই সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, এবার ই-কর্মাস পলিসিতে বদল আনতে চলেছে ভারত। সূত্রের খবর, নতুন ই-কমার্স রুল বা বিধি সম্বলিত একটি ড্রাফট বা খসড়া আসতে চলেছে। বলা হচ্ছে এটি দেশে স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে ভালোভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে, এবং নাগরিকদের সাথে নতুন ই-সার্ভিস প্রোভাইডারের পরিচয় করাবে। তবে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে চীনা প্রোডাক্ট বিক্রি বন্ধ করতেই সরকারের এই চতুর পদক্ষেপ।
সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ই-কমার্স সাইট নিয়ে একটি নতুন ১৫ পাতা লম্বা খসড়াতে একাধিক নিয়মের বদল করা হয়েছে। এতে অ্যামাজন বা গুগলের মতো টেক জায়েন্টদের আধিপত্য কমিয়ে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নিয়ন্ত্রণ রাখবে সরকার। এছাড়াও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যাতে কোনোভাবেই চিনা প্রোডাক্ট বিক্রি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে। আসলে সরকার সরাসরি চীনা প্রোডাক্টের বিক্রি বন্ধ না করে, ঘুরে পথে ‘চীনা প্রোডাক্ট বয়কট’ ক্যাম্পেইন সফল করতে চাইছে।
জানা গেছে, “ডিজিটাল ইনডিউস বায়াস” অর্থাৎ ডিজিটাল জগতে একচেটিয়া বিষয় রুখতে নতুন বিধিগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার ইনফরমেশন রিসোর্স, সোর্স কোড এবং অ্যালগারিদম অ্যাক্সেস করবে সরকার। এছাড়া, বিভিন্ন সংস্থা কীভাবে এক্সপ্লেনেবল AI অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া ই-কমার্স সংস্থাগুলির উপর সরেজমিনে নজর রাখতে একটি নিয়ন্ত্রক কমিটি তৈরি করা হতে পারে।
নতুন ড্রাফট পলিসি অনুযায়ী, ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে সরকারকে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন – সেলারের ফোন নম্বর, ইমেল এবং ঠিকানা, কাস্টমার কম্প্লেন্ট কন্ট্যাক্ট, ট্যাক্স, প্রোডাক্টগুলির উৎস এবং আরো অন্যান্য কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে। এছাড়াও প্রোডাক্টের গায়েও কোন দেশের তৈরী তা লেখার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। ফলে মানুষ চাইনিজ প্রোডাক্টে কিনতে দ্বিধা করবে। খুব শীঘ্রই সরকারি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে। অনেকেই মনে করছেন ভারতের এই নয়া ই-কমার্স নীতি চাপ বাড়াতে পারে গুগল বা অ্যামাজনের মতো সাইটের ওপর।