পরিবেশ দূষণের বাড়বাড়ন্ত ক্রমাগত বিশ্ব উষ্ণায়নের দরজায় কড়া নেড়ে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনকে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে দেখে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বের প্রায় সকল দেশ। দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে প্রথাগত জ্বালানির যানবাহনকে। বিকল্প পথ হিসেবে পরিবেশবান্ধব গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের শেকড় এতটাই গভীরে পৌঁছে গিয়েছে, যে রাতারাতি সেটি উৎপাটন করা একপ্রকার অসম্ভব। কিন্তু এবারে সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে পুরো দুনিয়াকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ক্যালিফোর্নিয়া সরকার। ২০৩৫ সালের পর নতুন পেট্রোল-ডিজেল গাড়ির বিক্রি বন্ধের সীমারেখা ধার্য করে দেওয়া হল। বলাই বাহুল্য, ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসনের এই কঠিনতম পদক্ষেপ, বিশ্ব সভায় নয়া নজির গড়েছে।
আমেরিকার বাতাস নিয়ামক সংস্থা ক্যালিফোর্নিয়া এয়ার রিসোর্সেস বোর্ড এই ‘অ্যাডভান্সড ক্লিন কারস ২’ পরিকল্পনায় অনুমোদন দিতে সর্বসম্মতিক্রমে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করেছিল। ভোটের ফলাফল পরিবেশবান্ধব যানবাহনের দিকে হওয়ায় ঠিক হয়, ২০৩৫-এর পর সেখানে কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক এবং প্লাগ-ইন-হাইব্রিড গাড়ি বিক্রি করা যাবে। এই প্রসঙ্গে উক্ত বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়েন র্যাডল্ফ সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গকে জানান, “ক্যালিফোর্নিয়ার জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিশ্বের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমনে চতুর্থতম দেশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে বর্তমানে সমগ্র বিশ্বেই ব্যাটারি পরিচালিত যানবাহনের দাম জীবাশ্ম জ্বালানির মডেলগুলির চাইতে বেশি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে এর মূল্য আগামীতে কমে আসবে। একইসাথে সুবিধা জনক অঞ্চলে বাড়বে চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা। আবার গাড়িতে চার্জিংয়ের সময়ও কমে আসবে। তাই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তারা আশার আলো দেখছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার এই সিদ্ধান্ত তার পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিকে প্রভাবিত করবে, যার ফলে সেই সব অঞ্চলের প্রশাসন বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার অন্যান্য রাজ্যের চাইতে ক্যালিফোর্নিয়া বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রতি পদক্ষেপে কয়েক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। রাইটার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়াতে ইলেকট্রিক, প্লাগ-ইন-হাইব্রিড এবং হাইড্রোজেন চালিত যানবাহনের বিক্রি ৩৫% অবদান রাখবে। ২০৩০-এর মধ্যে তার পরিমাণ বেড়ে ৬৮ শতাংশে পৌঁছাবে। আবার, ২০৩৫-এর আগেই এর বিক্রি ১০০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের ফলে Tesla ও Rivian-এর মতো কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। আবার যে সকল সংস্থা নিজেদের গাড়ি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিকে রুপান্তরিত করতে পারবে, তাদেরকেও সুযোগ দেওয়া হবে।
আপনি যদি Garena Free Fire-এর নিয়মিত প্লেয়ার হন, তাহলে ফ্রি ফায়ার ডায়মন্ডের গুরুত্ব নিশ্চয়ই জানেন।…
অনার এর ফোল্ডেবল ফোন Honor Magic V3 বিশ্বব্যাপী লঞ্চের আগে বিশ্ব রেকর্ড করল। আসন্ন আইএফএ…
আগামী মাসে লঞ্চ হতে চলেছে iPhone 16। ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসন্ন আইফোন সিরিজের…
টেলিকম সংস্থাগুলি গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রিপেড প্ল্যান অফার করে। তাই যদি আপনি বেশি ডেটা…
Samsung Galaxy S24 FE ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সার্টিফিকেশন সাইটে দেখা গিয়েছে, যা ইঙ্গিত করছে এই আপকামিং…
এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সূর্যকুমার যাদব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। তিনি এই টুর্নামেন্টে…