এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই করোনা ভাইরাস কে নিয়ন্ত্রণে এনেছে চীন, ভারতে সম্ভব?

করোনা ভাইরাস বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়। বিশ্বের সমস্ত দেশ এখন এই ভাইরাসকে নির্মূল করার জন্য নতুন নতুন উপায় খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে। যদিও চীন তাদের প্রযুক্তির সহায়তায় এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ভারতও যদি চীনের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তবে হয়তো করোনা ভাইরাস কে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তাই আজ আমরা আপনাকে চীনের এই বিশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে বলব, যা করোনা ভাইরাস কে বিনাশ করতে ব্যবহার করা হয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক চীনের এই প্রযুক্তি সম্পর্কে।

Color Coding :

চীন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রথমে রঙিন কোডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। চীন এই সিস্টেমের জন্য প্রযুক্তি সংস্থা আলিবাবা এবং টেনসেন্টের সাথে হাত মিলিয়েছে। এই সিস্টেমটি একটি স্মার্টফোন অ্যাপ হিসাবে কাজ করে। এতে মানুষের ভ্রমণের সাথে মেডিকেল হিস্ট্রি অনুযায়ী সবুজ, হলুদ এবং লাল রঙের কিউআর কোড দেওয়া হয়। এই কালার কোডগুলি বলে দেবে কাকে ঘরে থাকতে হবে আবার কে বাইরে থাকতে পারবে।

চীন সরকার এই সিস্টেমের জন্য বিভিন্ন চেকপয়েন্ট তৈরি করেছে, যেখানে লোকেদের পরীক্ষা করা হয়। এখানে তাদের ভ্রমণ এবং মেডিকেল হিস্ট্রি অনুসারে একটি কিউআর কোড দেওয়া হবে। কেউ যদি সবুজ রঙের কোড পান তবে তিনি প্রকাশ্য স্থানে যেতে পারবেন। অন্যদিকে, কেউ যদি লাল রঙের কোড পান তবে তাকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়।

Robotics :

চীন করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে রোবট ব্যবহার করেছে। এই রোবটগুলি হোটেল থেকে অফিস পরিষ্কারের কাজ করে এবং আশপাশে স্যানিটাইজার স্প্রে করে। অন্যদিকে, অনেক চীনা প্রযুক্তি সংস্থা চিকিৎসার নমুনা প্রেরণে এই রোবটগুলিও ব্যবহার করেছে।

Drones :

চীন করোনা ভাইরাস কে ধ্বংস করতে ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই ড্রোনগুলির মাধ্যমে চীন সরকার জনগণের কাছে মাস্ক এবং ওষুধ বিলি করছে। এর বাইরে এই ডিভাইসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত অঞ্চলে স্যানিটাইজারও স্প্রে করা হয়েছে। ভারতও যদি এই উদ্দেশ্যে ড্রোন ব্যবহার করে তবে বলা যেতে পারে যে করোনা ভাইরাস কে প্রতিরোধ করা যাবে।

Facial recognition System :

চীন করোনা ভাইরাস ট্র্যাক করতে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ব্যবহার করেছে। এই সিস্টেমটিতে ইনফ্রারেড ডিটেকশন প্রযুক্তি উপলব্ধ, যা মানুষের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে কারা মুখোশ পড়েছে এবং কারা পড়ে নেই তা জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *