ডেটা ফাঁসের অভিযোগ; সপ্তাহ ঘুরতেই বিতর্কে জড়ালো Clubhouse

জানুয়ারির শুরুতে, এলন মাস্কের একটি টুইটের জেরে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ Signal। সেক্ষেত্রে মাস ঘুরতে না ঘুরতে ঠিক একই ভাবে প্রাধান্য পেয়েছে…

জানুয়ারির শুরুতে, এলন মাস্কের একটি টুইটের জেরে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ Signal। সেক্ষেত্রে মাস ঘুরতে না ঘুরতে ঠিক একই ভাবে প্রাধান্য পেয়েছে Clubhouse নামে একটি ভয়েস-বেসড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মও। এলন মাস্ক, মাক জুকারবার্গ প্রমুখ ব্যক্তিত্বের সাম্প্রতিক প্রচারের জেরে, গত বছর এপ্রিল লঞ্চ হওয়া এই অডিও চ্যাটরুম অ্যাপটি হঠাৎ করেই নেটিজেনদের চোখে সুয়োরানী হয়ে উঠেছে; মাত্র কয়েকদিনে অ্যাপটি ১০ মিলিয়নেরও বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে এমনটাও শোনা গিয়েছে। কিন্তু ওই যে বিখ্যাত গানের লাইনটি আছে – ‘কিসমাত কি হাওয়া কাভি নরম, কাভি গরম!” শীত কমার সাথে সাথে অনেকটা সেরকমভাবেই আবহাওয়া গরম হয়েছে Clubhouse-এর জন্যেও।

আসলে সপ্তাহ খানেক আগেই ক্লাবহাউস (Clubhouse) দাবি করেছিল যে, তাদের অ্যাপটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং হ্যাকিং বা গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে কোনোমতেই ইউজারের ডেটা চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু দেখা গেছে, সংস্থার এই দাবিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্ল্যাটফর্মটির সিকিউরিটি সিস্টেমকে লঙ্ঘন করেছে হ্যাকারদের একটি দল। গ্যাজেট ৩৬০-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিমা বাহন্যাসি নামে ক্লাবহাউসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, কিছু অজানা ইউজার ক্লাবহাউস অ্যাপটিতে অ্যাক্সেস পেয়েছে এবং অ্যাপ্লিকেশন থেকে কিছু অডিও ফিড থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে শেয়ার করেছে। সংস্থার মতে, এই কারণে নির্দিষ্ট কিছু ইউজারকে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং প্ল্যাটফর্মটির নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থা ইনস্টল করা হয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, এই ব্লেন্ডারের পেছনে থাকা রং-ডোর (Wrongdoor), জাভাস্ক্রিপ্ট টুলকিটের চারপাশে একটি সিস্টেম তৈরি করেছে, যার সাহায্যে অ্যাপ্লিকেশনটিকে সহজেই কম্পাইল করার জন্য ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে সুরক্ষা লঙ্ঘন প্রতিরোধের নতুন প্রক্রিয়াটি ঠিক কিভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে কোনো ব্যখ্যা দেয়নি ক্লাবহাউস। তবে জ্যাক ক্যাবল নামে এক রিসার্চার জানিয়েছেন, উল্লিখিত সুরক্ষা ত্রুটিটির মোকাবিলা করতে ক্লাবহাউস, অডিও চ্যাটরুমের ইউজারের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করতে পারে অথবা তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশনগুলির মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটির অ্যাক্সেস রোধ করতে পারে।

প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে SIO নামের সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স টিম তাদের একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছিলেন যে, তারা ক্লাবহাউস চ্যাটরুম থেকে মেটাডেটা চীনা সার্ভারে স্থানান্তরিত হতে দেখেছেন। যদিও চীন, প্রতুত্তরে জানায় যে এইসব অডিও শনাক্ত করা সহজ নয় এবং এর সাথে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি জড়িয়ে আছে।

যাইহোক, অ্যাপটির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংস্থাটি কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং কিভাবে তারা হঠাৎ করে তৈরি হওয়া জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারা – সেটাই এখন দেখার বিষয়…

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন