COVID Booster Dose: বুস্টার ডোজ নিয়ে চলছে প্রতারণা, অসাবধান হলেই বড় ক্ষতির সম্ভাবনা

করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এর মধ্যেই সারা দেশে টিকার বুস্টার-ডোজ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে টিকার বুস্টার-ডোজ নিতে হলে আপনার বয়স ৬০ বছরের বেশি হতে হবে। এছাড়া অতিমারির বিরুদ্ধে সর্বক্ষণ সংগ্রামরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকেরাও বর্তমানে কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার-ডোজ নিতে পারবেন। এজন্য সরকারি সংস্থাগুলিকে উপযুক্ত দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। কিন্তু এই বুস্টার-ডোজ প্রদানকে কেন্দ্র করে এখন একাধিক জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসা শুরু হয়েছে, যার শিকার হলে ব্যক্তিগত ও আর্থিক গোপন তথ্য খোয়ানোর পাশাপাশি আরো বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে‌।

ঠিকই পড়ছেন, অতিমারির বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াইয়ের পরিস্থিতিতেও সক্রিয় একদল অসাধু মানুষ আমজনতার অসহায় অবস্থার সুযোগ নিতে তৈরী। এক্ষেত্রে তারা টিকার বুস্টার-ডোজ বিষয়ক সংবাদ জ্ঞাপনকে হাতিয়ার করে মানুষকে বোকা বানানোর কাজে লেগে পড়েছে। এজন্য সবার প্রথমে তারা কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার-ডোজ গ্রহণের জন্য মানুষের ফোনে এসএমএস বা কল প্রেরণ করছে। আর সঠিকভাবে যাচাই না করে সেই মুহূর্তে প্রতারকের ফাঁদে পা দিলেই বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কারণ সেক্ষেত্রে নিমেষেই চুরি হয়ে যাচ্ছে তার ব্যক্তিগত ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত গোপন তথ্য।

এদিকে বুস্টার-ডোজের টোপ দিয়ে লোক ঠকানোর কারবার রুখতে প্রশাসনিক কর্তব্য সামলানোর পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় হয়েছেন কলকাতা পুলিশের অপরাধী শাখার যুগ্ম কমিশনার। কিভাবে আলোচ্য প্রতারণা চক্রের হাত এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব, নিজের টুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি সে বিষয়ে নেটিজেনদের পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্ত স্মরণ করিয়ে দিয়ে তার বক্তব্য, যেহেতু কেবলমাত্র ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্যেই বর্তমানে টিকার বুস্টার-ডোজের বন্দোবস্ত করা হয়েছে, সেহেতু তার থেকে কম বয়সীরা টিকাকরণ সংক্রান্ত মেসেজের উত্তর না দিলেই সুরক্ষিত থাকবেন। একইসাথে তিনি অনির্ভরযোগ্য কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা বা ওটিপি (OTP) প্রদানের মতো কাজ থেকে সকলকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

আসলে কোভিড টিকাকরণ সংক্রান্ত কল বা মেসেজ প্রেরণের মাধ্যমে প্রতারকেরা মানুষের কাছ থেকে ওটিপি (OTP) আদায় করছে। এজন্য আক্রান্তের মোবাইলে লিঙ্ক পাঠিয়ে তাকে সেই লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হচ্ছে। প্রতারকের নির্দেশ মেনে এই কাজ করলেই ঘটছে বিপত্তি। কারণ সেই মুহূর্তেই আক্রান্তের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে যাচ্ছে প্রতারকের দখলে। এর জেরে বড় কোনো বিপদের সম্মুখীন হওয়াও অসম্ভব নয়। মূলত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজকে কেন্দ্র করেই আলোচ্য প্রতারণাচক্র তার জাল বিস্তার করছে বলে জানা গিয়েছে।