Cryptocurrency: ফের পতনের মুখে ক্রিপ্টো মার্কেট; রেকর্ড হারে কমে বিটকয়েনের দাম পৌঁছেছে ২০ লাখ টাকায়

আবারও একবার বড়োসড়ো ধসের মুখোমুখি হল ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট! চলতি বছরের শুরু থেকেই সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সির দামে বড়োসড়ো পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকেই ক্রিপ্টোর বাজারে চূড়ান্ত টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর গত মাসে আচমকাই বেশ বড়োসড়ো মাপের ধস নামে ক্রিপ্টো মার্কেটে। তবে এবার ফের সবচেয়ে বড়ো তথা সর্বাধিক প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি Bitcoin (বিটকয়েন) থেকে শুরু করে একাধিক ক্রিপ্টোর দামেই রেকর্ড হারে পতন হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এতে, খুব স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।

রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার বিটকয়েনের দাম ২৫,৬০০ ডলারে (প্রায় ১৯,৯৭,১১৩ টাকা) নেমে আসে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দাম। বিগত কয়েক মাস ধরেই ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির দাম ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এক্ষেত্রে বলে রাখি, গত বছরের নভেম্বরে বিটকয়েনের দাম সর্বকালের সেরা উচ্চতায় পৌঁছায়। তখন এর মূল্য ছিল ৬৮,০০০ ডলারেরও (প্রায় ৫৩,০৫,৬৯৬ টাকা) বেশি। কিন্তু তারপর থেকেই ক্রমশ এর দাম নিম্নমুখী হতে শুরু করে, আর এটির মূল্য এখন ৬০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এরকমভাবে ব্যাপক হারে যদি বিটকয়েনের দাম কমতে থাকে, তাহলে এই বছরের শেষের দিকে এটির মূল্য হয়ত ১৪,০০০ ডলারে (১০,৯২,৩৪৯ টাকা) নেমে আসবে!

অন-চেইন অ্যানালিটিক্স প্ল্যাটফর্ম ক্রিপ্টোকোয়ান্ট (CryptoQuant)-এর কন্ট্রিবিউটর ভেঞ্চার ফাইন্ডার (Venturefounder)-এর মতে, আগামী ৬৭০ দিনের মধ্যে বিটকয়েনের দাম কমে ১৪-২১ হাজার ডলারে নেমে আসতে পারে। তবে বিনিয়োগকারীদের চিন্তামুক্ত করতে এক উজ্জ্বল আশার আলোও দেখিয়েছে তারা। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিটকয়েনের দাম আবারও বাড়বে এবং আগামী বছরের মধ্যে এর দাম বেড়ে ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ৩১,২১,৬৬০ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।

এদিকে, বিটকয়েনের মতোই ইথেরিয়াম (Ethereum)-এর অবস্থাও মোটেই ভালো নয়। গত সপ্তাহান্তে এই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির দামও আচমকা অনেকটাই কমে গেছে। জানা গিয়েছে যে, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিজিটাল মুদ্রার দামে বিপুল পরিমাণ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। অন-চেইন অ্যানালিটিক্স প্রোভাইডার গ্লাসনোড (Glassnode)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইথেরিয়ামের মার্কেট ভ্যালু গত সপ্তাহের শেষে ১,৭৮১ ডলারের (প্রায় ১,৩৯,০৩০ টাকা) নীচে নেমে গিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে এক ভয়ঙ্কর দুশ্চিন্তার খবর। তবে এই বিপুল পরিমাণ পতন প্রত্যক্ষ করার পরেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি যে ধীরে ধীরে তাদের বাজারদর কিংবা জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলছে তা কিন্তু একেবারেই নয়, বরং খুব শীঘ্রই এই ডিজিটাল মুদ্রাগুলি আবার সুদিনের মুখ দেখবে।