Car Fitness Certificate: গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার বৈধ শংসাপত্র না থাকলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, জেলও হতে পারে

দিল্লির মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ফের একবার কড়া সিদ্ধান্তের কথা শোনালো কেজরিওয়াল সরকার। গাড়ির মালিক অথবা চালক, স্বাস্থ্য পরীক্ষার বৈধ শংসাপত্র না থাকলেই কপালে জুটবে…

দিল্লির মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ফের একবার কড়া সিদ্ধান্তের কথা শোনালো কেজরিওয়াল সরকার। গাড়ির মালিক অথবা চালক, স্বাস্থ্য পরীক্ষার বৈধ শংসাপত্র না থাকলেই কপালে জুটবে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড। এমনকি হতে পারে হাজতবাস। সরকারের এই নিয়ম থেকে বাদ পড়বেন না কেউই, কোনো সরকারি দপ্তরের গাড়ি হলেও না। কড়া হুঁশিয়ারি দিল্লি প্রশাসনের। সম্প্রতি মসনদের রাস্তায় একাধিক গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার বৈধ শংসাপত্র না থাকতে দেখা যাওয়ায় কঠোর হল পরিবহণ দফতর।

এই প্রসঙ্গে জারি হওয়া একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “পরিবহণ দফতর লক্ষ্য করে দেখেছে, স্থানীয় সংস্থা, ব্যক্তিগত এবং সরকারি দফতরের গাড়ির বহু মালিক এবং চালক ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছেন। যা মোটর ভেহিকেল আইন, ১৯৮৮ অনুযায়ী একটি অপরাধ।” সেখানে উল্লেখ করা হয়, “এমভি অ্যাক্টের ৫৬ নং ধারা অনুযায়ী যদি দিল্লি সরকারের পরিবহণ বিভাগ দ্বারা জারি করা একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার বৈধ শংসাপত্র না থাকে, তবে সেই যানবাহনকে বৈধভাবে নিবন্ধিত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে না।”

যতক্ষণ না ফিটনেস সার্টিফিকেট সংগ্রহ করছে, ততক্ষণ এই জাতীয় যানবাহনের রাস্তায় চলাচলের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এদিকে কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেল আইন, ১৯৮৯-তে বলা হয়েছে, ৮ বছরের কম বয়সের কোনো গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার শংসাপত্রের মেয়াদ দু’বছর। গাড়ির বয়স ৮ বছরের বেশি হলে, এই শংসাপত্রের মেয়াদ হয় এক বছর। অন্যদিকে পণ্য পরিবহনকারী তিন চাকার গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার শংসাপত্রের মেয়াদ ৩ বছর।

পিটিআইকে দিল্লির পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, বৈধ স্বাস্থ্য পরীক্ষার শংসাপত্র ছাড়া গাড়ি চালালে, তাকে তৎক্ষণাৎ পাকড়াও করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হয়েছে। গাড়ির মালিক এবং চালককের থেকে প্রথমবার এই ভুলের জন্য ২,০০০-৫,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হবে। দ্বিতীয়বার হলে তার পরিমাণ বেড়ে ৫,০০০-১০,০০০ টাকা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে জেল পর্যন্ত খাটতে হতে পারে।