‘চুল বড় হয়েছে কিভাবে কাটবো,’ কোটি কোটি মানুষ গুগলে জানতে চাইছে অদ্ভুত সব বিষয় সম্পর্কে
করোনা ভাইরাসের কারণে জারি লকডাউনে বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী এইমুহূর্তে তাদের নিজের বাড়িতে বন্দী। এই লকডাউন মানুষকে অন্য কিছু শেখাক বা না শেখাক আত্মনির্ভর হতে অবশ্যই শিখিয়েছে। লোকেরা নিজেরাই এখন বেশিরভাগ কাজ করে নিচ্ছে যেগুলোর উপর আগে অন্যের উপর নির্ভর করতে হত।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, লোকেরা আগে যে জিনিস সম্পর্কে জানতেও চাইতো না, সেগুলি সম্পর্কে এখন জানতে চাইছে। এই লকডাউনের সময় সেই সম্পর্কে জানতে চাইছে মানুষ। উদাহরণস্বরূপ, ‘নিজে চুল কীভাবে কাটবো’ ‘সিগারেট ডেলিভারি,’ প্রভৃতি সম্পর্কে গুগলে ব্যাপক পরিমানে সার্চ হচ্ছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি বিষয়ে গুগলে অধিক সার্চ করছে মানুষ।
বেকারত্বের আবেদন – শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের মানুষ গুগলে চাকরির খোঁজ করছে। গত ৩০ দিনে গুগল সার্চে ‘বেকারত্বের আবেদন’ কীওয়ার্ড ৫,৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনাকে জানিয়ে রাখি যে করোনার কারণে সারা বিশ্বে মন্দার আতঙ্কে কাঁপছে।
নিজের চুল নিজে কিভাবে কাটবো – ২৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মানুষ গুগলে জানতে চাইতো না নিজের চুল নিজে কিভাবে কাটবো। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে পরের দুইমাসে এই কীওয়ার্ড সার্চ ৭৬৬ শতাংশ বেড়েছে। গুগল ও ইউটিউবে মানুষ নিজে কিভাবে চুল কাটবে তাই জানতে চাইছে।
ভিটামিন সি – লোকেরা লকডাউনে অনলাইনে ভিটামিন সি বড়ি সম্পর্কে প্রচুর জানতে চাইছে। ই-কমার্স সাইটে ভিটামিন সি এর খোঁজ ৫৩২ শতাংশ বেড়েছে।
টিকটক লাইট – ৫ জুন ২০১৯ পর্যন্ত গুগলে টিকটক লাইট কীওয়ার্ড এর সার্চ শূন্য ছিল। তবে লকডাউনে এর সার্চ ৫৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জানিয়ে রাখি লকডাউনে শর্ট ভিডিও অ্যাপ টিকটকের ডাউনলোড ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
নখ কাটার যন্ত্র – এই লকডাউনে মানুষ নখ কাটার যন্ত্রের ও খোঁজ করছে চরমে। কারণ অনেকেই বিউটি পার্লার থেকে নখ কাটে কিন্তু এখন বাইরে যেতে পারছেনা।
ডাম্বল – গুগলে ডাম্বল নিয়ে সার্চের পরিমান ৫২৪ শতাংশ বেড়েছে। লকডাউনে সমস্ত জিম বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকজনকে ঘরে বসে অনুশীলন করতে হচ্ছে। আর সেকারণেই তারা ডাম্বল খোঁজ করছে। ডাম্বল কিভাবে বানানো যায় বা এর ডেলিভারি কিভাবে পাওয়া যায় তা জানতে চাইছে মানুষ।
সিগারেট ডেলিভারি – ১১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত সিগারেট ডেলিভারি সম্পর্কিত খুব কম সার্চ করা হত। কিন্তু ৮ এপ্রিল থেকে এই নিয়ে সার্চ ৫০৭ শতাংশ বেড়েছে। এরকারণ লকডাউনে সিগারেট, বিড়ি এবং পান-মসলা জাতীয় দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকেরা সিগারেটের হোম ডেলিভারি খোঁজ করছে।