স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় এই চারটি কাজ খবরদার করবেন না, নইলে খেতে হতে পারে জেলের হাওয়া!

বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমাদের যদি স্মার্টফোনে কিছু সার্চ করতে হয়, তাহলে আমরা সকলেই গুগল (Google) স্যারের শরণাপন্ন হই। আবার কোনো মেসেজ, ইমেজ, কিংবা ভিডিও সবার…

বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমাদের যদি স্মার্টফোনে কিছু সার্চ করতে হয়, তাহলে আমরা সকলেই গুগল (Google) স্যারের শরণাপন্ন হই। আবার কোনো মেসেজ, ইমেজ, কিংবা ভিডিও সবার সাথে শেয়ার করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়াই আমাদের একমাত্র ভরসা। এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে তো কোনো সমস্যাই নেই, কিন্তু কখনও যদি আপনি এগুলির অপব্যবহার করে ধরা পড়েন, তাহলে কিন্তু আপনাকে সরাসরি জেলে যেতে হতে পারে! আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনে অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও কথাটা কিন্তু খাঁটি সত্যি।

আসলে আপনি যদি গুগলে কোনো স্পর্শকাতর কিংবা বিতর্কিত বিষয় সম্পর্কে সার্চ করেন অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো নীতিবিরুদ্ধ বা ভুয়ো কনটেন্ট শেয়ার করেন, তাহলে কিন্তু আপনি বড়োসড়ো বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন; এমনকি হাজতবাস পর্যন্ত করতে হতে পারে। এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে এমনই কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানাতে চলেছি। আর সেইসাথে একথাও বলছি যে, নিরাপদে এবং সুরক্ষিত থাকতে চাইলে এই কাজগুলি ভুলেও কখনও করবেন না।

১) কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি না নিয়ে তার কোনো ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা চরম অপরাধের আওতায় আসে। তাই এই ধরনের কোনো কাজ করলে কিন্তু কোনোভাবেই পার পাওয়া যাবে না, হাতে হাতকড়া পরে সটান যেতে হবে জেলে!

২) সার্চ ইঞ্জিন গুগলে বোমা বানানোর উপায় কোনোমতেই খুঁজতে যাবেন না, তাহলে কিন্তু পরিণতি মোটেই ভালো হবে না। কারণ বোমা বানানোর পদ্ধতি সার্চ করলে আপনি দেশের সিকিউরিটি এজেন্সির রাডারে চলে আসতে পারেন, যার ফলে আইপি অ্যাড্রেস দেখে সরকার আপনার গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সিকিউরিটি এজেন্সিগুলি তৎক্ষণাৎ আপনার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবে, যার ফলস্বরূপ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।

৩) যেকোনো ধর্ম অথবা উপাসনাস্থলের ক্ষতি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মেসেজ ছড়িয়ে দেওয়া এক ঘৃণ্য অপরাধ। তদুপরি, কারোর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানে, এমন মেসেজ কখনোই শেয়ার করা উচিত নয়। তাই এই ধরনের কোনো কাজ করলে তা কিন্তু পুলিশের চোখ এড়িয়ে যাবে না, আর তার ফলটা যে কী হবে সেটা নিশ্চয়ই আর আপনাকে আলাদা করে বলে দিতে হবে না!

৪) সামাজিক মাধ্যমে কখনও ভুয়ো, উস্কানিমূলক, বা হিংসাপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করবেন না। কারণ এরকম কাজ করে ধরা পড়লে প্রশাসন আপনার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেবে, যার সুবাদে আপনি বড়োসড়ো শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন, এমনকি জেলের হাওয়াও খেতে হতে পারে।