সাবধান! কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের কারণে ফাঁস হতে পারে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য

রাজ্য সরকার এবং নগর নিগম কর্পোরেশনের সাথে সারাদেশের পুলিশ করোনা ভাইরাসের সঙ্গে জড়িত ৪০ টি অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ করেছে। এই অ্যাপগুলি কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, কোয়ারেন্টাইন ট্র্যাকিং, স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সহ ই-পাস জেনারেট করতেও কাজে লাগে। যদিও কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং-র জন্য সারাদেশে শুধুমাত্র আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশন সবথেকে জনপ্রিয় হয়েছে।

এই অ্যাপগুলিকে আগেও বহু লক্ষবার ডাউনলোড করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশনে প্রাইভেসি পলিসির সমস্যা রয়েছে। প্রাইভেসি অ্যাডভোকেটদের কথা অনুযায়ী, বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশনে প্রাইভেসি পলিসি ঠিকঠাক নেই।। তবুও এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি অত্যন্ত ব্যক্তিগত তথ্যের দাবি করে যেমন লোকেশন, ছবি, মিডিয়া, ক্যামেরা, ফোন ইনফর্মেশন, ওয়াইফাই কানেকশন, ডিভাইস আইডি ইত্যাদি। প্রাইভেসি আইন অনুযায়ী এই সমস্ত তথ্য একমাত্র সেই অ্যাপ্লিকেশনই দাবি করতে পারে যাদের প্রাইভেসি পলিসি যথেষ্ট ঠিকঠাক রয়েছে। এই কারণে সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে কমজোরি এবং সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

সফটওয়্যার ফ্রিডম ল সেন্টার একটি রিপোর্টের মাধ্যমে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি থেকে দাবি করা পারমিশন এবং প্রাইভেসি পলিসির একটি খসড়া রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক সরকার নিজের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে কিন্তু কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশনে কিছু সন্দেহজনক পলিসি আমাদের নজরে এসেছে। সেই অ্যাপ্লিকেশনগুলি টার্ম অফ সার্ভিস এবং প্রাইভেসি পলিসি সঠিক নেই। কিন্তু এটি সঠিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন কারণ এর মাধ্যমেই ডেভলপার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।

এছাড়াও রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, এই তালিকায় থাকা বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারবেস অ্যাপ্লিকেশনের প্রাইভেসি পলিসি জেনারেট করে। এর পদ্ধতি ব্যবহার করলে ডেভেলপাররা নিজের অ্যাপ্লিকেশনের ধরন এবং অ্যাক্সিসের উপর নির্ভর করে সাধারণ প্রাইভেসি পলিসি টেমপ্লেট জেনারেট করতে পারে। এছাড়াও এই অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয় না। ফলে এদের সিকিউরিটি প্যাচ অত্যন্ত লো। এই কারণে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনে সাইবার সিকিউরিটির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *