Instagram আদতে অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট প্ল্যাটফর্ম! ফের বিতর্কিত মন্তব্য X মালিক ইলন মাস্কের

বিভিন্ন কোম্পানি-প্রতিষ্ঠান এবং তাদের মালিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রতিযোগিতা, বাজারে নতুন কোনো বিষয় নয়। আর এখন এই ইন্টারনেটকেন্দ্রিক যুগে তো অনেককেই প্রকাশ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা…

বিভিন্ন কোম্পানি-প্রতিষ্ঠান এবং তাদের মালিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রতিযোগিতা, বাজারে নতুন কোনো বিষয় নয়। আর এখন এই ইন্টারনেটকেন্দ্রিক যুগে তো অনেককেই প্রকাশ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে জনপ্রিয় দুই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির কর্ণধার তথা X (টুইটারের নতুন নাম)-এর মালিক ইলন মাস্ক এবং Facebook সিইও মার্ক জুকারবার্গ সম্প্রতি আবারও বিতর্কে রয়েছেন। আসলে ইলন মাস্ক, হালফিলে Facebook-এর মালিক সংস্থা Meta-র আরেকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট Instagram-এর সাথে ১৮+ সাবস্ক্রিপশন প্ল্যাটফর্ম OnlyFans-এর সাথে তুলনা করেছেন। আর এই সমস্ত কিছু সূত্রপাত ‘cb_doge’ ইউজারনেমওয়ালা একটি প্রোফাইলের টুইট দিয়ে।

ঠিক কী বলেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক?

প্রায় দেড় বছর আগে সুপরিচিত মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার (Twitter)-এর মালিকানা নিজের হাতের মুঠোয় ইলন মাস্ক। মূলত তারপর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম নিয়ে নানা প্রতিযোগিতামূলক মন্তব্য করেছেন বিশ্বের এই সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। অন্যদিকে মার্ক জুকারবার্গের মেটা কোম্পানি টুইটারের সাথে পাল্লা দিতে কয়েক মাস আগে থ্রেডস (Threads) চালু করেছে। যার জেরে পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে। সেক্ষেত্রে সম্প্রতি @cb_doge প্রোফাইল থেকে সম্প্রতি একটি টুইট পোস্ট হয়েছে, যাতে পোস্টদাতা জিজ্ঞেস করেছেন যে ‘ইনস্টাগ্রাম এবং অনলি-ফ্যানসের মধ্যে পার্থক্য কী? শুধু নাম?’ জবাবে মাস্ক, ডগডিজাইনারের (DogeDesigner)-এর পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন – ‘অনেক বেশি’।

যারা জানেন না তাদের বলে রাখি, অনলি-ফ্যানস, একটি সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পরিষেবা যা যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয়। প্রাথমিকভাবে এটি প্রাপ্তবয়স্ক (অ্যাডাল্ট) কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা ব্যবহার করে। অর্থাৎ সোজা কথায় বললে, এখন সরাসরি ইনস্টাগ্রামকে অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ঠাট্টা করেছেন ইলন মাস্ক।

এর আগে জুকারবার্গকে ‘বড়’ প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক

টেসলা (Tesla), স্পেসএক্স (SpaceX)-এর মতো সংস্থাগুলির মালিক বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গকে একটি বড় অফার দিয়েছেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী ফেসবুকের নাম পরিবর্তনের বিনিময়ে জুকারবার্গকে ১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এমনকি মাস্ক কিছু দিন আগে উইকিপিডিয়া (Wikipedia)-র কাছেও একইরকম প্রস্তাব দেন। যদিও তাঁর প্রস্তাবে এখনও অবধি কেউই কোনো সাড়া দেননি।