গত বছর রেকর্ড মুনাফা, 2022-23 অর্থবর্ষে দেশের বাজারে ইলেকট্রিক সাইকেলের বিক্রি 300% বৃদ্ধির লক্ষ্যে EMotorad

চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২-এর অন্তিম লগ্ন আসতে আর বিশেষ দেরি নেই। নতুন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য নিজেদের ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে শিল্পমহল। বাজারের হাল-হকিকত বুঝে তবেই নিজেদের লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করছে তারা। তেমনি ভারতের প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক বাইসাইকেল প্রস্তুতকারী EMotorad আগামী অর্থবর্ষের পরিকল্পনার কথা কোনোরকম রাখঢাক না রেখেই সর্বসমক্ষে নিয়ে এলো। আসছে আর্থিক বছরে সংস্থাটি ৩০০ শতাংশ বিক্রি বাড়াতে চায় বলে জানিয়েছে।

পাশাপাশি ইমোটোরাড (EMotorad), তাদের মুনাফা ৪০০ শতাংশ বাড়িয়েছে বলেও ঘোষণা করেছে। ২০২০ থেকে পথ চলা শুরু করে বর্তমানে ভারতে ১৭০-এর অধিক ডিলারশিপের নেটওয়ার্ক রয়েছে সংস্থাটির। নতুন অর্থবর্ষে এই সংখ্যাটিও বাড়ানো হবে। বর্তমানে সংস্থার পুণের কারখানা থেকে বার্ষিক ৯০,০০০ ই-বাইক উৎপাদিত হয়, আগে যেটি ছিল মাত্র ১৬,০০০। আর এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে ব্যবসাতে ২০ কোটি টাকা লগ্নির ফলে।

এই প্রসঙ্গে ইমোটোরাড-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও কুনাল গুপ্তা (Kunal Gupta) বলেছেন, “আমরা কেবল মাত্র একটি বড় সংস্থাই নয়, বরং বিখ্যাত গোষ্ঠী হতে চাই। আমেরিকার বাজার ধরতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি। উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি আমাদের লগ্নি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।”

অন্যদিকে সংস্থার অপর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিএমও আদিত্য ওজা (Aditya Oza) বলেছেন, “বর্তমান কর্মীদের চেনা পরিচিতির মাধ্যমে আমাদের সংস্থায় ৩০ শতাংশেরও বেশি নিয়োগ হয়েছে, যার জন্য আমরা সৌভাগ্যশালী। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ আমাদের কাজের পরিবেশের জন্য, এবং কর্মস্থলে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য। এছাড়াও আমাদের প্রতিটি কর্মী EMotorad-এর উন্নতির জন্য সবটা দিয়েছিল।”

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজার যেমন আরব আমিরশাহী, নেপাল এবং জাপানে নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে EMotorad। একইসাথে তারা অন্যান্য দেশেও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছে। বর্তমানে ভারতের ৬৫টি শহরে তাদের ১৭০-এর অধিক অফলাইন ডিলারশিপ রয়েছে। ২০২০ সালে পথ চলা শুরু করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত দেশীয় বাজারে ৯,০০০ ইলেকট্রিক সাইকেল বিক্রি করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি আরব আমিরশাহী জাপান এবং নেপালে তারা রপ্তানি করেছে ৬,৩০০টি ই-সাইকেল।