AMO Electric ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার ধরতে তৎপর, নিয়েছে ৭৫০ কোটি লগ্নি সংগ্রহের লক্ষ্য

নয়ডার ইলেকট্রিক টু-হুইলার প্রস্তুতকারী সংস্থা AMO Electric এদেশে তাদের নতুন পণ্য লঞ্চ, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য লগ্নিকারী সংস্থার খোঁজ করছে। আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৭৪১ কোটি) কাছাকাছি লগ্নি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে তারা। বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজারে প্রথম সারিতে জায়গা করতে গেলে বিক্রির পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো জরুরী৷ আর সে কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করছে AMO Electric।

বর্তমানে AMO Electric-এর চারটি বৈদ্যুতিক স্কুটার বাজারে উপলব্ধ। যেগুলি এ দেশে সংস্থার ১৫০টি আউটলেট থেকে সরাসরি কিনতে পারেন গ্রাহকরা। এই প্রসঙ্গে এএমও ইলেকট্রিক (AMO Electric)-এর কর্ণধার সুশান্ত কুমার (Sushant Kumar) সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ির চাহিদা অত্যাধিক হারে বাড়বে। আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করার জন্য আমরা আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার লগ্নি টানতে চাই।”

সুশান্ত আরও জানিয়েছেন, সেই অর্থ সংস্থাটির গবেষণা এবং উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে উদ্দীপনা জোগাবে, যার ফলে দেশের প্রথম তিনটি ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থা হিসেবে জায়গা করে নেওয়ার প্রচেষ্টায় শামিল হতে পারবে তারা। ইতিমধ্যেই একাধিক লগ্নীকারি সংস্থার সাথে সংস্থাটি কথাবার্তা চালাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে এএমও ইলেকট্রিক নতুন বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে দুটি নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করার কথা ভাবছে, এবং পরবর্তী অর্থবর্ষে চারটি উচ্চগতির টু-হুইলার নিয়ে আসতে চলেছে, যার মধ্যে আবার একটি ইলেকট্রিক বাইক। এই প্রসঙ্গে সুশান্তের বক্তব্য, “নতুন মডেলগুলি উচ্চগতির (৬০-৮৫ কিমি/ঘন্টা) হতে পারে৷ যাদের রেঞ্জ হবে ১২০ কিলোমিটারের অধিক। এবং সেগুলিতে ব্যাটারি সোয়াপিংয়ের বিকল্প থাকবে।”

এছাড়া আরও বেশি সংখ্যক বৈদ্যুতিক স্কুটার ও বাইক বিক্রি করার উদ্দেশ্যে, সমগ্র দেশে প্রায় ৬৫০ ডিলারশিপ চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে AMO Electric। এমনকি পরবর্তী অর্থবর্ষে ১.২ লাখ ইউনিট প্রোডাক্ট বিক্রির লক্ষ্যর কথা জানিয়েছেন সুশান্ত কুমার।