Electric Car: এখানে গত বছর বিক্রি হওয়া গাড়ির ৬৫ শতাংশ ব্যাটারি দ্বারা চালিত, কোন দেশে?

বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত দেশগুলির মত বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন কেনার দৌড়ে শামিল এবার নরওয়ে (Norway)। ইতিমধ্যেই সেখানে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে…

বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত দেশগুলির মত বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন কেনার দৌড়ে শামিল এবার নরওয়ে (Norway)। ইতিমধ্যেই সেখানে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে সবথেকে বেশি বিক্রি হয়েছে আবার Tesla-র গাড়ি। নরওয়ে’তে ২০২১-এ ১,৭৬,২৮৬ ইউনিট নতুন গাড়ি বিক্রির ফলে শতকরা ২৫ শতাংশ আধিক্য ঘটেছে। যার মধ্যে আবার ৬৫ শতাংশ হচ্ছে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন, ২০২০-তে যা ছিল ৫৪%।

জীবাশ্ম তেলের খনি থাকা সত্ত্বেও নরওয়ে (Norway) সরকার দেশের নাগরিকদের বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা বলছে। এমনকি পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ি ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হয়ে ওঠার জন্য ইতিমধ্যেই জোরদার উদ্যোগ নিয়েছে নরওয়ে সরকার। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, নরওয়ের জনসংখ্যা মাত্র ৫.৪ মিলিয়ন বা ৫০,৪০,০০০ হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের মধ্যে আনুপাতিক হারে সর্বোচ্চ বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে এর। অন্যদিকে চীনে ১.৪ বিলিয়ন মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করেন, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক।

আবার বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনকে করের অওতার বাইরে রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বিক্রির শতকরা হার ৮০ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। এমনকি পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়ি বিক্রি বন্ধ করার সময়সীমাও ঘোষণা করে দিয়েছে নরওয়ে সরকার, যা হল ২০২৫।

Norwegian Road federation (NRF)-এর অনুযায়ী নরওয়ের রাস্তায় ইলেকট্রিক গাড়ির ১১.৬ শতাংশই হচ্ছে ইভি জায়ান্ট Tesla-র। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মান সংস্থা Volkswagen-এর বাহন, যার শতকরা হার ৯.৬ শতাংশ। অন্যদিকে নরওয়েতে গত বছরের সর্বাধিক জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ির তকমা পেয়েছে Tesla Model 3। এরপরের স্থান দুটিতে রয়েছে Toyota RAV4 hybrid ও Volkswagen ID.4 electric।

এদিকে নরওয়ের শিল্প প্রতিনিধিরা মনে করছেন ২০২২-এ বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রিতে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটবে। এই প্রসঙ্গে নরওয়েজিয়ান ইভি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ক্রিশ্চিয়ানা বু (Christiana Bu)-র বক্তব্য, “আমরা বিশ্বাস করি ২০২২-এ আমরা ৮০% ইলেকট্রিক কারের মাইলফলক পার করতে পারব।”