আমেরিকার পর ফেসবুকের কাছে সবচেয়ে বেশি ইউজারের তথ্য চাইলো ভারত

বর্তমানে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন অনেকটা সময় ফেসবুক, ইনস্টাগ্ৰামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে কাটান। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত সাইটগুলিতে ইউজারদের অনেক তথ্য থাকে। বিভিন্ন কারণে সরকারের তরফে এই তথ্য চাওয়া হয়। সম্প্রতি Facebook তাদের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে জানিয়েছে, জানুয়ারি-জুন ২০২০ পর্বে বিশ্ব জুড়ে সরকারের তরফ থেকে তথ্য চাওয়ার হার ২৩ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি তথ্যের অনুরোধের নিরিখে আমেরিকার পরেই দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ভারত সরকার।

২০১৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধে সারা বিশ্বে ফেসবুক থেকে সরকারের তথ্য চাওয়ার সংখ্যা ছিল ১,৪০,৮৭৫। ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে বিশ্ব জুড়ে ফেসবুক থেকে সরকারের তথ্য চাওয়ার হার ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,৭৩,৫৯২। Facebook-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সরকার এই সময়সীমার মধ্যে ৫৭,২৯৪ টি ইউজার/অ্যাকাউন্টের জন্য ৩৫,৫৬০ বার তথ্যের অনুরোধ করেছিল। ৫০% অনুরোধের ক্ষেত্রে কিছু তথ্য পরিবেশন করা হয়েছিল।

ফেসবুকের কাছে সবচেয়ে বেশি তথ্যের অনুরোধ করা হয়েছে আমেরিকা সরকারের তরফ থেকে। ২০২০ সালের জানুয়ারি-জুন পর্বের মধ্যে ১০৬,১১৪ জন ইউজার বা অ্যাকাউন্টের জন্য ৬১,৫২৮ বার তথ্যের অনুরোধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৮৮% অনুরোধের ক্ষেত্রে কিছু তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। আমেরিকা ও ভারতের পরেই ফেসবুক থেকে তথ্যের অনুরোধে এগিয়ে রয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স এবং গ্রেট ব্রিটেন।

Facebook কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সরকারের তরফ থেকে তথ্যের অনুরোধ এলে তারা প্রযোজ্য আইন এবং তাদের শর্তাবলী অনুযায়ী সাড়া দেয়। প্রত্যেকটি অনুরোধকে আইনিভাবে খুঁটিয়ে দেখা হয়। খুব বৃহৎ বা অস্পষ্ট ধরনের অনুরোধকে তারা প্রত্যাখ্যান করে দিতে পারে বা অনুরোধ নির্দিষ্ট করতে বলতে পারে। তবে Facebook কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে সরকারকে সমস্ত তথ্য সরাসরি তারা দিয়ে দেয় না, কারণ ইউজারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও তাদের অন্যতম লক্ষ্য।

জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে মূলত করোনার জন্য স্থানীয় আইনের ভিত্তিতে কনটেন্ট রেস্ট্রিকশন ৪০% বেড়ে গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সময়কালে ভারতে ৮২৪ টি কনটেন্ট রেস্ট্রিক্ট করা হয়েছিল। তাছাড়া এই সময়কালে নয়টি দেশে ফেসবুক পরিষেবায় ৫২ বার বাধা দেখা গেছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে কপিরাইটের কারণে অনেক কনটেন্ট সরিয়েও দিয়েছে Facebook কর্তৃপক্ষ।