Flying Car: এয়ার ট্যাক্সি থেকে ড্রোন, ভবিষ্যতে যাতায়াত হবে আকাশপথে

প্রযুক্তির উপর ভর করে মানুষ ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। এই ‘এগিয়ে চলা’র ক্ষেত্রটি দিনদিন নতুন সংজ্ঞা পাচ্ছে। মানুষের ব্যস্ততার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে শহরগুলিতে যানবাহনের সংখ্যাও। এখনকার দ্রুতময় জীবনে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে যাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন অনেকে। মানুষের এহেন চাহিদা পূরণ করতেই বিকল্প রাস্তা হিসেবে অন্তরীক্ষ তৈরীর পথ বেছে নিয়েছে একাধিক অটোমোবাইল কোম্পানি। ইতিমধ্যেই উড়ন্ত গাড়ি (Flying Car) বা eVTOL (electric vertical takeoff and landing) তৈরীর কাজ প্রায় শেষের মুখে বলে জানিয়েছে অনেক সংস্থাই। এদের মধ্যে কয়েকটি আবার নিজেদের উড়ন্ত যান আগামী ২০২৩-এর মধ্যেই নিয়ে আসবে বলে শোনা যাচ্ছে।

সব ঠিকঠাক চললে ২০২৫-এর মধ্যেই বাস্তবেও যে কল্পবিজ্ঞানের স্বাদ পাওয়া যাবে তা এক প্রকার আশা করা যায়। হয়তো জীবনদায়ী ওষুধ, সীমান্তের নিরাপত্তা বাহিনী অথবা শহরের মানুষজনকে আকাশে উড়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যাবে। শহরের জনবহুল এলাকাগুলিতে চালানো হবে এই উড়ন্ত বাহন। বিষয়টা অনেকটা হলিউড চলচ্চিত্রের মতই কল্পনাময় হতে চলেছে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স (Reuters)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইস্ক (Wisk)-এর এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান আন্না কোমিনিক (Anna Kominik) ফ্লাইং কারের বিষয়ে বলেছেন, “আমরা আর বেশিদিন রাস্তায় চলা যানবাহন ব্যবহার করতে পারব না; ৩ডি (3D) মোবিলিটি বাস্তবেই ভীষণ প্রয়োজন।” উইস্ক, যা একটি উড়ন্ত গাড়ির কোম্পানি, গত চার বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের টেকাপো-তে ‘কোরা’ (Cora) নামক একটি স্বয়ংচালিত উড়ন্ত বৈদ্যুতিক এয়ারক্রাফ্টের উপর কাজ করে চলেছে। এই উড়োযানটি আবার হেলিকপ্টারের মত মাটি ছেড়ে উপরে উঠতে এবং ল্যান্ড করতেও সক্ষম।

অন্যদিকে নেদারল্যান্ডের অপর একটি সংস্থা পাল-ভি (PAL-V) তৈরি করেছে নতুন একটি ছোট উড়ন্ত গাড়ি। লিবার্টি (Liberty) নামক এই ফ্লাইং গাড়িটি মাটি থেকে এক ফুট উঁচুতে উড়তে সক্ষম। এতে রয়েছে দুটো সিট। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮০ কিমি/ঘন্টা এবং রেঞ্জ ৪০০ কিমি। যা ইতিমধ্যেই ইউরোপের রাস্তায় চলার ছাড়পত্র পেয়েছে। ২০২৩-এর মধ্যেই গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর এটি ডেলিভারি করা হবে বলে জানিয়েছেন পাল-ভি ইন্টারন্যাশনাল (PAL-V International)-এর প্রধান কার্যনির্বাহক রবার্ট ডিঙ্গেমানসে (Robert Dingemanse)।

এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রযুক্তি কি হারে এগোচ্ছে। অন্যদিকে এই উড়ন্ত বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি চালু হলে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও কমবে। পাশাপাশি বাঁচবে মানুষের সময়। তবে ভারতে এই ফ্লাইং কার কবে চালু হয় এখন সেটাই দেখার।