এরকম হয় নাকি? সত্যিই হচ্ছে! পুরনো গাড়ি ছাড়তে প্রায় 3.20 লাখ টাকা দিচ্ছে এই দেশ

পরিবেশ দূষণকে বাগে আনতে তৎপর বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সরকার। যেনতেন প্রকারে দূষণের হাত থেকে নিস্তার পাওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য। এদিকে দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে…

পরিবেশ দূষণকে বাগে আনতে তৎপর বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সরকার। যেনতেন প্রকারে দূষণের হাত থেকে নিস্তার পাওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য। এদিকে দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে বারংবার জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের নাম উঠে আসছে। এগুলি থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া প্রতি মুহূর্তে বিপদের ডঙ্কা বাজিয়ে চলেছে। তাই বিকল্প পথ হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে বৈদ্যুতিক যানবাহন। পরিবেশের প্রতি সচেতনতা এবং পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া মূল্যের কারণে বহু মানুষ এখন এই জাতীয় যানবাহন বেছে নিচ্ছেন। এদিকে ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধিতে এবার তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিল ফরাসি সরকার। বড়সড় অঙ্কের অর্থ প্রদানের কথা ঘোষণা করা হল।

নতুন উদ্যোগ হিসেবে ফ্রান্স সরকার দেশবাসীর জন্য নিয়ে এসেছে এক অনন্য অফার। যার মুখ্য উদ্দেশ্য পরিবেশ দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানো। আর তার জন্য সে দেশের প্রশাসন ঘোষণা করল ৪,০০০ ইউরো ইনসেন্টিভ, ভারতীয় মুদ্রায় বা প্রায় ৩,১৯,৫০০ টাকা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সে দেশের যে কোনো নাগরিক তার নিজের ব্যবহৃত জ্বালানি তেল চালিত গাড়িটি জমা দিলে ওই অর্থসাহায্য পাবে। তবে শর্তাবলী প্রযোজ্য। আর এই অর্থ দিয়ে কেবল ইলেকট্রিক বাইক কিনতে পারবেন দেশবাসী।

এই নতুন ঘোষণার ফলে কেবল যে পরিবেশের দূষণ কমবে তাই নয়, পাশাপাশি মানুষ আরও বেশি পরিমাণে বৈদ্যুতিক যানবাহনমুখী হয়ে উঠবে। উক্ত ঘোষণার শর্তসাপেক্ষে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের গ্রামাঞ্চলের নিম্নআয়ের পরিবারের সদস্যদের এই আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। পরিবার পিছু রোজগারের সর্বোচ্চ মাত্রা ধার্য করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে প্যারিসের সোশ্যালিস্ট গ্রীন কাউন্সিল নাগরিক পিছু ৫০০ ইউরো বা প্রায় ৩৯,৯৭৬ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল, যাতে ইলেকট্রিক্যালি অ্যাসিস্টেড বাইক কেনা যায়।

বর্তমানে ফ্রান্স প্রশাসন চাইছে যাতে আরও বেশি সংখ্যক নাগরিক ইলেকট্রিক বাইক ব্যবহার করেন। যদিও নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং জার্মানি এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ২০২৪-এর মধ্যে ৯% জনগণ যাতে ইলেকট্রিক বাইসাইকেল কেনেন, তার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে সরকার। বর্তমানে যার পরিমাণ মাত্র ৩%। নেদারল্যান্ডস এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে (২৭%) গিয়েছে।