Drone Delivery: ওষুধ, সবজি, মুদিখানা, রেস্তোরাঁর খাবার ড্রোনে করে পৌঁছবে আপনার দোরগোড়ায়, প্রথমে চারটি শহরে পরিষেবা শুরুর ভাবনা

এখন দেশের সর্বত্র অনলাইন ই-কমার্স সংস্থাগুলির রমরমা বাজার। মুঠোফোনের সচলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষও বর্তমানে অনলাইন কেনাকাটার উপর অধিক আস্থা রাখছেন। সে প্রাণদায়ী ওষুধ হোক বা সুস্বাদু খাবার অথবা অন্য কোনো জিনিস, ক্রমশই অনলাইন মুখী হচ্ছেন মানুষজন। এর ফলে চাহিদা বেড়েছে পণ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলিরও।

দেশের সুগম থেকে অতি দুর্গম পথ, যানজট, খারাপ রাস্তা ইত্যাদি পেরিয়ে গন্তব্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে থাকে এরা। অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্ত সমস্যার কারণে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করতে যথেষ্টই বেগ পেতে হয় এদের। এর মুশকিল আসান করতে এবার আকাশ পথে ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য TSAW Drones-এর সাথে গাঁটছড়া বাঁধলো ভারতে লাস্ট-মাইল ডেলিভারি সংস্থা Zypp Electric।

এবার থেকে যে সমস্ত জায়গায় সড়কপথে পণ্য পৌঁছে দেওয়া প্রায় অসম্ভব, সেইসব গন্তব্যের জন্য ড্রোনের ব্যবহার করবে জিপ ইলেকট্রিক (Zypp Electric)। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ২০০টি ড্রোনের মাধ্যমে দেশের চারটি প্রধান শহরে এই পরিষেবা চালু করার কথা জানিয়েছে। তবে ভবিষ্যতে দেশের যেই সমস্ত রাজ্যে সংস্থাটি পরিষেবা দিয়ে থাকে, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি যেমন, দিল্লি-এনসিআর, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বাই এবং পুণেতে এই ড্রোন পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানির।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কোনো মূল্যবান পণ্যের ক্ষেত্রে ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারি কতটা নিরাপদ? এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ডেলিভারি দিতে ব্যবহৃত ড্রোনগুলিতে থাকবে লকার সিস্টেম। পণ্য পৌঁছানোর আগে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মোবাইলে আসবে এটি ওটিপি। কেবলমাত্র সেই সঠিক ওটিপি ব্যবহার করেই ড্রোনের লকার খুলে পণ্যটি গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জিপ ইলেকট্রিক (Zypp Electric)।

ওষুধ, সবজি, খাবার ইত্যাদি জিনিস ইলেকট্রিক স্কুটারে যেসব জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব নয়, সেখানে এগুলি ড্রোনের মাধ্যমে পৌছে দেওয়া হবে। এর ফলে একদিকে যেমন সময় বাঁচবে, পাশাপাশি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য খরচের পরিমাণও কমবে, এমনটাই মনে করছে Zypp Electric।

প্রসঙ্গত, TSAW Drones হচ্ছে ড্রোন তৈরীর একটি স্টার্টআপ সংস্থা। এরা সাধারণত চালকবিহীন এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট (ATM), স্মার্ট গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন (GCS) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI) সহায়ক স্মার্ট গাড়ির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর কাজ করে থাকে।