বাইকের শুধু পারমিট পেতেই খরচ 7 লক্ষ টাকার বেশি! কোন দেশে জানেন?

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সিঙ্গাপুর বরাবর ধনী ও উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। স্বভাবতই সে দেশে জীবনধারণ অত্যাধিক ব্যয়বহুল। তবে তাক করার মতো খবর হল সে দেশে…

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সিঙ্গাপুর বরাবর ধনী ও উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। স্বভাবতই সে দেশে জীবনধারণ অত্যাধিক ব্যয়বহুল। তবে তাক করার মতো খবর হল সে দেশে বাইক চালাতে যে অনুমতিপত্র লাগে, তার খরচ। সিঙ্গাপুর সরকারের জমি পরিবহণ কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, এবার থেকে সে দেশে যে কোনো মোটরসাইকেলের ১০ বছরের পারমিট বা অনুমতি পত্র পেতে ৮,৯৮৪ ডলার খরচ পড়বে। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭.৩৯ লক্ষ টাকার সমান। যা দিয়ে অনায়াসে Maruti Dzire বা Baleno-এর মতো হ্যাচব্যাক গাড়ি কেনা যায়।

এই খরচ চার বছরে ব্যয়ের চাইতে ২০০% বেশি। সে দেশের প্রশাসন পারমিটেড সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে যা এনটাইটেলমেন্টের শংসাপত্র হিসেবে খ্যাত। এই পারমিটের খরচ পাহাড় সমান বৃদ্ধি করার কারণ যাতে রাস্তায় চলাচলকারী মোটরসাইকেল এবং গাড়ির সংখ্যায় বেড়ি পড়ানো যায়। সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের শহুরে রাস্তায় মোট ১,৪২,০০০টি মোটরসাইকেল এবং ৬,৫০,০০০টি গাড়ি যাতায়াত করেছে।

এখন পারমিট শুল্ক বৃদ্ধির ফলে সিঙ্গাপুরে প্রায় ৪.১১ লক্ষ টাকা দামের একটি মোটরসাইকেল কিনে রাস্তায় চলাচলের অনুমতি পেতে প্রায় ১৬.৪৫ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। এবং নতুনভাবে পারমিট রিনিউ করাতে প্রায় ৯.০৫ লক্ষের বেশি টাকা ব্যয় হবে। দশ বছর আগে এটি করাতে যা অর্থ লাগতো, এখন তার চাইতে প্রায় ছয় গুণ বেশি লাগবে।

এদিকে যারা নতুন মোটরসাইকেল কিনবেন অথবা ভাড়ায় নেবেন উভয়ের উপরই এই বাড়তি খরচের ভার চাপবে। কেনার ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ বেশি। তবে সেদেশে মোটরসাইকেল ভাড়ায় খাটানো GigaRider-এর মতো কিছু সংস্থা ব্যয় বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। ২০২৩-এর প্রথম ত্রৈমাসিক থেকে তারা ১০% ভাড়া বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। আবার মোটরসাইকেলের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর প্রশাসন গাড়ির সংখ্যা কমানোর ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ করতে চলেছে।