Google Maps ব্যবহারকারীরা এখন জানতে পারবেন নিজের এলাকার বাতাসের গুনমান

এবার বায়ু দূষণ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে Google Maps ‘এয়ার কোয়ালিটি চেকিং’ পরিষেবাও প্রদান করবে, যা আপনার এলাকার বায়ুর গুণমান কতটা স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর তার জানান দেবে। এক্ষেত্রে, ডেস্কটপের পাশাপাশি এখন Android এবং iOS উভয় ভার্সনের Google Maps অ্যাপ ব্যবহার করে ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ ওরফে AQI রেঞ্জ দেখা যাবে। সে আপনার কাছে পুরোনো বা লেটেস্ট যেধরনেরই ফোন থাকুক না কেন। আসুন এই বিষয়ে বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক এবার…

Android এবং iOS ডিভাইসে আপনার এলাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দেখাবে Google Maps

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI ফিচার এনাবল করতে, প্রথমেই আপনাকে গুগল ম্যাপে গিয়ে ‘লেয়ার সেটিংসে’ অপশনে ট্যাপ করতে হবে। এখানে – পাবলিক ট্রানজিট (Public transit), ট্র্যাফিক (traffic), ৩ডি (3D) এবং স্ট্রিট ভিউ (Street View) বিকল্পগুলির পাশাপাশি এয়ার কোয়ালিটি (Air Quality) লেখা একটি অপশনও পাওয়া যাবে। এটিতে ট্যাপ করা মাত্রই AQI ডেটা অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে এবং আপনি নিজের এলাকার বাতাসের গুণমান বা এয়ার কোয়ালিটি দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, এয়ার কোয়ালিটি বিকল্পে ট্যাপ করার পরক্ষনেই, গুগল ম্যাপস ব্যবহারকারীর বর্তমান লোকেশনের ভিউ জুম আউট করবে এবং একই সাথে নিকটবর্তী এলাকাগুলিকে পিন সহ স্ক্রিনে প্রদর্শিত করবে। এই পিনগুলি সাধারণত নির্ধারিত এলাকার ‘ল্যান্ড মার্কিং’ অবস্থানে দেখা যাবে৷ আবার, বায়ুর গুণমান কতটা ভালো বা খারাপ তার উপর ভিত্তি করে এই পিনের রঙ পরিবর্তিত হতে থাকবে। বিশদে এই ব্যাপারে জানতে, আপনাদের সেই অবস্থানের উপর ট্যাপ করতে হবে। এমনটা করলেই, একটি পপ-আপ স্ক্রিনে ভেসে উঠবে, যেখানে ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ রেটিংয়ের পাশাপাশি অন্যান্য খুঁটিনাটি ডেটাও দেখানো হবে।

এই নতুন বিকল্পটি সম্পর্কে গুগল জানিয়েছে, “গুগল ম্যাপে আপনি এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) দেখতে পারবেন। যেখানে – তথ্য আপডেট করার পর বাতাস কতটা স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর তার একটি পরিমাপ সহ আউটডোর অ্যাক্টিভিটির নির্দেশিকা দেখা যাবে। আর বিশদে জানতে ‘লার্ন মোর’ লিঙ্কও দেওয়া হবে।”

গুগল তাদের এই ফিচারের জন্য আমেরিকার (US) ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ ব্যবহার করছে। এই ইনডেক্স, ০ থেকে ৪০০+ রেঞ্জের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এক্ষেত্রে, ০ আসা মানে, সেখানে বায়ু সর্বাধিক পরিষ্কার এবং ৪০০ -এর বেশি আসার অর্থ বাতাসের গুণমান যথেষ্ট সংকটপূর্ণ। প্রসঙ্গত, ভারতের ক্ষেত্রে গুগল, ‘সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের’ পাশাপাশি ‘স্টেট পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড’ থেকেও বায়ু দূষণ সম্পর্কিত ডেটা সোর্স সংগ্রহ করবে। আর, এই ডেটা ‘ন্যাশনাল AQI’ দ্বারা আপডেট করা হয়, যা উল্লিখিত সরকারী সংস্থাগুলি সরবরাহ করে থাকে। জানিয়ে রাখি, ভারতীয় AQI রেঞ্জ ০ থেকে শুরু হয় এবং ৫০০+ রেঞ্জ পর্যন্ত যায়।

উল্লেখ্য, একটি সরকারী মনিটরিং স্টেশন যখন একটি নির্দিষ্ট অবস্থানের জন্য ডেটা সরবরাহ করতে অক্ষম হয় বা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করে না, তখন গুগল ‘নন-রেগুলেটরি’ পার্টনারদের কাছ থেকে সেই ডেটা সংগ্রহ করে থাকে। আমেরিকা ভিত্তিক টেক জায়ান্টটির মন্তব্য অনুযায়ী, এই পার্টনার সংস্থাগুলি তাদের এমন প্রকারের সেন্সর পরিমাপ প্রদান করে, যাতে সেটিতে নাওকাস্ট (NowCast) অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এয়ার কোয়ালিটির গড় রেঞ্জ গণনা করা যায়। আর তারপর, সেই এলাকার নির্ভুল AQI খুঁজে পেতে ‘ইউএস এনভারমেন্টাল প্রটেকশন’ সংস্থার কারেকশন ফ্যাক্টর প্রয়োগ করে গড় হিসাবে বের করে গুগল।