এই অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে সতর্ক হোন! KYC জালিয়াতি নিয়ে পরোক্ষভাবে গুগল যোগের অভিযোগ

বর্তমানে দেশে কেওয়াইসি (KYC) সংক্রান্ত জালিয়াতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এয়ারটেল (Airtel) ভিআইয়ের (Vi) মতো বেসরকারি সংস্থা তো বটেই, এমনকি ভারতের সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন (Cellular Operators Association of India) বা সংক্ষেপে সিওএআই (COAI) -এর পক্ষ থেকেও সাধারণ মানুষকে নিয়মিতভাবে সাবধান করা হচ্ছে যাতে তারা কেওয়াইসি জালিয়াতির খপ্পরে না পড়েন। এই প্রতারকেরা অত্যন্ত ধূর্ত। মানুষকে ঠকাবার একাধিক উপায় এদের জানা। সম্প্রতি মানুষকে বোকা বানাতে এরা টিমভিউয়ার কুইকসাপোর্টের (TeamViewer QuickSupport) মতো অ্যাপ্লিকেশনকে কাজে লাগাচ্ছে বলে সাইবার বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন।

যেমন সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দিল্লি পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। গুগল প্লে-স্টোরের (Google Play Store) সার্চ রেজাল্ট কি করে প্রতারকদের হাত শক্ত করছে, উক্ত দপ্তরের সঙ্গে জড়িতেরা বর্তমানে তার প্রমাণ পেয়েছেন। এমনকি সাইবার অপরাধ শাখার ডিএসপি (DSP) খোদ একটি টুইটের মাধ্যমে গুগল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

ডিএসপি’র (DSP) টুইটে কেওয়াইসি (KYC) সংক্রান্ত জালিয়াতির সঙ্গে গুগল প্লে-স্টোরের নাম বিশেষভাবে জড়িয়েছে। সেখানে প্রাপ্ত রিমোট অ্যাক্সেস অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে ব্যবহার করে প্রতারকেরা কিভাবে তাদের কাজ হাসিল করছেন, ডিএসপি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্লে-স্টোরে ‘KYC’ লিখে সার্চ করলে প্রথম বিকল্পেই টিমভিউয়ার্স কুইক সাপোর্ট (TeamViewer QuickSupport) অ্যাপ্লিকেশনটির দেখা মিলছে। পরিচিত এই অ্যাপ কাজে লাগিয়েই প্রতারকেরা আমজনতার ক্রেডিট কার্ড ও নেটব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত গোপন তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। এরপর শিকারের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করা তার কাছে সামান্য সময়ের অপেক্ষা।

কেওয়াইসি-জালিয়াতির ক্ষেত্রে প্রতারণাকারী আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য জমা দেওয়ার কথা নির্দেশ দেয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেগুলি জমা না দিলে তার ই-কেওয়াইসি (e-KYC) যাচাইকরণ সহ পরিষেবা বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই মেসেজপ্রাপ্ত ব্যক্তি ভয় পেয়ে যান এবং ভুল করেন।

সাধারণত গ্রাহক সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিনিধি সেজে প্রতারকেরা মানুষকে ভোলাবার চেষ্টা করে। আক্রান্তকে ফোন করে সে কেওয়াইসি-প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার আবেদন জানায়। এরপর তাকে প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোডের পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতারকের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করলেই ব্যক্তির ডিভাইসে টিমভিউয়ার কুইকসাপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল হয়ে যায়। এরপর আক্রান্ত ব্যক্তির ডিভাইসে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে প্রতারক তার ব্যক্তিগত তথ্যগুলি হাতিয়ে তাকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়।

অবশ্য প্রতারকদের বাড়বাড়ন্তকে রুখতে টিমভিউয়ার কুইকলিঙ্ক প্রস্তুতকারকেরা তাদের অ্যাপে বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণের ফিচার যুক্ত করতে চলেছেন। এর ফলে ফেস ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক ছাড়া অনধিকারীর পক্ষে ডিভাইসের উপরে নিয়ন্ত্রণ কায়েম সম্ভব হবে না বলে অ্যাপ নির্মাতারা জানিয়েছেন।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন