টিকাকরণ কেন্দ্রের অবস্থান, ভ্যাকসিন স্লট আছে কি না, এখন থেকে সব তথ্য দেখাবে Google

গত বছর কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতে ভাইরাসের বিস্তার, অ্যাক্টিভ কেস, এবং এই সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ে নির্ভুল ও খাঁটি তথ্য প্রদর্শনের জন্য Google ভারতের বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব করে। এরপর এই বছরের মার্চ মাসে যখন ভারত সরকার দেশে টিকাকরণ অভিযান শুরু করে, তখন সংস্থাটি Google Maps, Google Assistant এবং Google Search-এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাকেন্দ্রগুলি দেখাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (Ministry of Health and Family Welfare) সাথে হাত মেলায়। এখন এর সুফল ভোগ করবে সমস্ত ভারতবাসী।

আসলে Google আজ ঘোষণা করেছে যে, এই সপ্তাহ থেকে Google Search, Google Assistant এবং Google Maps সারা দেশে ১৩,০০০ টিরও বেশি কোভিড-১৯ টিকাকরণ কেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কিত আরও বিশদ তথ্য প্রদর্শন করবে। এই তথ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লটের উপলব্ধতা, প্রদত্ত ভ্যাকসিন এবং ডোজ (ডোজ ১ বা ডোজ ২), সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভ্যাকসিনের নির্ধারিত দাম (টাকা লাগবে নাকি বিনামূল্যে) এবং টিকাকরণের স্লট বুকিংয়ের জন্য ভারত সরকারের CoWIN ওয়েবসাইটের লিঙ্কের মতো বিশদ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইংরেজি ছাড়াও, ব্যবহারকারীরা হিন্দি, বাংলা, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম, কন্নড়, গুজরাটি এবং মারাঠি ভাষায় সার্চ করতে পারবেন। Google জানিয়েছে যে, তারা ভারত সরকারের CoWIN টিমের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে অংশীদারিত্ব চালিয়ে যাবে যাতে এই কার্যকারিতাটি সারা ভারতের সমস্ত টিকাকেন্দ্রে প্রসারিত করা যায়। Google Search-এর ডিরেক্টর হেমা বুদারাজু (Hema Budaraju) এই সাম্প্রতিক আপডেটটি ঘোষণা করার সময় বলেন, “করোনাকে হারিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে মানুষ যখন অহরহ অনলাইনে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত তথ্য সার্চ করে চলেছেন, তখন আমরা আমাদের সমস্ত প্ল্যাটফর্ম জুড়ে সাধারণ জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ, সময়োপযোগী, নির্ভুল এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক এই আপডেটের কয়েক মাস আগে গুগল ঘোষণা করেছিল যে, Google Search এবং Google Maps-এ ২,৫০০ টি টেস্টিং সেন্টার দেখানোর পাশাপাশি, গুগল ইংরেজি এবং আটটি ভারতীয় ভাষায় দেশব্যাপী ২৩,০০০ টিরও বেশি টিকাকেন্দ্রের লোকেশন শো করবে। একইসাথে, গুগল আরও জানিয়েছিল যে, ইউটিউবে সংস্থাটি প্লেলিস্টের একটি সেটের মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধ, এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে গৃহীত প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ করবে। অর্থাৎ খুব সহজ ভাষায় বললে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপামর জনগণের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে টেক জায়েন্টটি চেষ্টার কোনো খামতি রাখছে না।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন