ভারতের কিছু প্রচলিত ই-কমার্স কোম্পানি যেমন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট এবং বিভিন্ন লোকাল কোম্পানিগুলি রেড জোনে আর কিছুদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় স্তরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ডেলিভারি দেওয়ার ছাড়পত্র পেতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এরকমই একটি আভাস পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রেড জোনগুলি এবং কন্টেইনমেন্ট জোনে এই সার্ভিস শুরু করা হয়নি। যদি এই ছাড়পত্র দেওয়া হয় তাহলে এই কোম্পানিগুলি ওই এলাকাগুলিতে দ্বিতীয় স্তরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র ইত্যাদি ডেলিভারি দেওয়া শুরু করতে পারবে। ভারত সরকার কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে কুলার, এয়ার কন্ডিশনার, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপের মত জিনিসপত্র ডেলিভারি শুরু করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বলে কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি এবং রিটেলাররা দ্বিতীয় স্তরের প্রয়োজনীয় জিনিসের ডেলিভারি চালু করার বিষয়ে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিল। বারংবার ভারত সরকারকে তারা জানিয়েছে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা। এর পরেই ভারত সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়টিতে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়।
ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের তরফ থেকে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে গ্রীন এবং অরেঞ্জ জ়োনে দ্বিতীয় স্তরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ডেলিভারির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এখনো পর্যন্ত রেড জোনে শুধুমাত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশের ১৩০টি জেলা করোনাভাইরাসের রেড জোনের মধ্যে পড়ছে। আরেকটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানানো হয়েছে, রিটেইলার, এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলি তাদের সমস্ত লাভের ৭৫% অর্জন করে থাকে এই অঞ্চলগুলি থেকেই।
বর্তমানে, এই রেড জোনের একটি বড় সংখ্যক জনগণ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, বাড়ির ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র এবং অফিসে ব্যবহার করা ষ্টেশনারী জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না। এবং একটি বিশেষ সার্ভে রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মোটামুটি ৪২% মানুষ বর্তমানে দোকানে যাওয়ার পরিবর্তে বাড়িতে জিনিস ডেলিভারি নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।