Electric Highway: আড়াই লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা কেন্দ্রের, বিদ্যুতের সাহায্যেই চলবে গাড়ি

পরিবেশ দূষণ রোধে আবারও এক চমকপ্রদ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে মোদি সরকার। দিল্লি থেকে মুম্বই পর্যন্ত বৈদ্যুতিক জাতীয় সড়ক (Electric Highway) নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। এ দিন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী হাইড্রোলিক ট্রেলার মালিক সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি জনান, সরকার প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে এই ধরনের হাইওয়ে তৈরির কথা ভাবছে। যাতে ধোঁয়া বের না করে বিদ্যুতের সাহায্যে ট্রলি বাস এবং ট্রলি ট্রাক চলাচল করতে পারে।

কী এই বৈদ্যুতিক সড়ক?

যে রাস্তার উপর দিয়ে ব্যাটারি পরিচালিত যানবাহন চলাচল করবে সেটাই হল বৈদ্যুতিক সড়ক। এই জাতীয় রাস্তার উপর দিয়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। ফলে মূলত ভারী যে সমস্ত ভেহিকেল (ট্রাক ও বাস) চলবে তাদের উপরে থাকবে ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফের মত একটি দন্ড। যা ওই ওই বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় দৌড়নোর শক্তি সংগ্রহ করবে। সেই সময় গাড়ির ভেতরে থাকা ব্যাটারিও চার্জ হবে। পরিবেশ দূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই ব্যবস্থা। ইতিপূর্বেই ক্যালিফোর্নিয়া, জার্মানি প্রভৃতি দেশে চালু হয়েছে এই জাতীয় রাস্তা।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, তার দপ্তর দেশের সমস্ত জেলাকে চার-লেন যুক্ত রাস্তা দিয়ে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। তিনি সমস্ত ভারী যানবাহন চালকদের উদ্দেশ্যে আর্জি রাখেন, তারা যেন জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে কম দূষণ সৃষ্টিকারী ইথানল, মিথানল এবং গ্রীন হাইড্রোজেন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ দিল্লি ও জয়পুরের মধ্যে ঠিক এ।রকম  ২০০ কিমি বৈদ্যুতিক জাতীয় সড়ক নির্মাণের কথা ঘোষণা করেন গডকড়ী।

কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী টুইট করে জানান যে আগামী ২০২৩-এ “দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে” চালু করা হবে। এর ফলে দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে ও তার সংলগ্ন রাস্তায় যানবাহনের চাপ খানিকটা কমবে। এটিই ভারতবর্ষের প্রথম শহরাঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়া উঁচু এক্সপ্রেসওয়ে। ২৯ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তা সম্পূর্ণ করতে আনুমানিক ৯ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের তহবিল থেকে খরচ হবে। উল্লেখ্য এই রাস্তার ১৯ কিমি অংশ হরিয়ানার মধ্যে এবং বাকি ১০ কিমি দিল্লির মধ্যে রয়েছে। রাস্তাটি তৈরি করতে প্রায় ২ লক্ষ মেট্রিক-টন স্টিল এবং ২০ লক্ষ কিউবিক-মিটার কংক্রিট প্রয়োজন হবে।