Fuel Consumption Standards: মাইলেজ বাড়াতে দেশের সমস্ত গাড়ির জন্য নতুন নিয়ম চালু করছে কেন্দ্র

পরিবেশ দূষণের সাথে জ্বালানি তেলের আমদানি কমানোর বিষয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি বছর পেট্রোল-ডিজেলের আমদানিতে সরকারের মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা যায়। তাই এর চাহিদা কমানোর…

পরিবেশ দূষণের সাথে জ্বালানি তেলের আমদানি কমানোর বিষয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি বছর পেট্রোল-ডিজেলের আমদানিতে সরকারের মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা যায়। তাই এর চাহিদা কমানোর বিকল্প হিসেবে একেক সময় বিভিন্ন বিধান দিয়ে থাকে কেন্দ্র। বিকল্প জ্বালানি যেমন বায়ো ফুয়েল, হাইড্রোজেন, ইথানল ও বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এবারে জ্বালানি তেলের আমদানির সাথে পরিবেশ দূষণ কমাতে দেশের সমস্ত ধরনের গাড়িতে তেল খরচের মাপকাঠি চালুর প্রস্তাব দিল দেশের সরকার। সম্প্রতি এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক।

ফলে দেশে তৈরি ও আমদানি করা সকল প্রকার হালকা, মাঝারি ও ভারী গাড়িতে এই বিধি মানতে হবে। ভারতে এই বিধি ২০২৩-এর ১ এপ্রিল থেকে চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র।  সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল রুল, ১৯৮৯ সংশোধন করে দেশের রাস্তায় চলাচল করা সমস্ত ধরনেহ গাড়িতে এই মাপকাঠি প্রণয়নের পথে হাঁটতে চলেছে মোদি সরকার।

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক বলেছে, এই নির্দেশিকা জারির উদ্দেশ্য ভারতে অধিক জ্বালানি সাশ্রয়কারী গাড়ির বাজারে আনা। এর ফলে আশা করা হচ্ছে দূষণের মাত্রা কমবে। এই নতুন বিধি জারি হলে গাড়ির মাইলেজ বাড়াতে নির্মাতাদের বড়সড় বিনিয়োগ করতে হবে। ফলে গাড়ির দাম বাড়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, কোন গাড়িতে কী রকম জ্বালানি খরচ হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর খতিয়ে দেখা হবে।

সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে প্রস্তাবটির ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। কনস্ট্যান্ট স্পিড ফুয়েল কনজাম্পশান (CSFC) বা জ্বালানি সাশ্রয় করতে নির্দিষ্ট গতিবেগের বিধি অনুযায়ী বর্তমানে রাস্তায় একটি ট্রাক ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিমি গতি তুলতে পারে। এবং টেস্ট ট্রাকে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ ওঠানোর নিয়ম রয়েছে। যেখানে একটি বাসের ক্ষেত্রে এর মাপকাঠি ৫০ কিমি/ঘন্টা। এই নির্দেশিকা চূড়ান্তভাবে জারি হওয়ার পর সরকার নতুনভাবে সর্বোচ্চ গতিবেগ বেধে দেবে বলে জানানো হয়েছে।