সুরক্ষায় ত্রুটির জন্য বাজার থেকে ফেরত গিয়েছে 20 লাখের বেশি গাড়ি, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

বাজার চলতি যানবাহনের কারিগরিতে কোনো গোলযোগ ধরা পড়লে, সংস্থাগুলিকে সাধারণত সেই মডেলের ব্যাচ ধরে ফিরিয়ে নিতে দেখা যায়। এটি ব্যবহারকারীর সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই করা হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছরে ভারতেও এহেন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। ২০১৯ সাল থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এমন দুই ও চার চাকার গাড়ির পরিমাণ দেখলে চোখ কপালে উঠতে পারে। গতকাল বিরোধী দলের এক সাংসদের প্রশ্নের জবাবে সেই পরিসংখ্যানই প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)।

সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারারস (SIAM)-এর তথ্য অনুযায়ী মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ২০.৭ লক্ষ যানবাহন ফেরত চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১০.৭ লক্ষ হল টু-হুইলার এবং ৯.৯ লক্ষ হল প্যাসেঞ্জার ভেহিকেল। তার মধ্যে ২০২১-২২ আর্থিক বছরেই মোট ৮,৬৪,৫৫৭টি বাইক ও স্কুটার এবং ৪,৬৭,৩১১টি যাত্রীবাহী গাড়ি ফিরিয়ে নিয়েছে প্রস্তুতকারীরা।

উল্লেখ্য, কোনও গাড়ি থেকে উদ্ভূত সমস্যা পরিবেশ, চালক ও যাত্রীদের জন্য ক্ষতিকারক প্রতিপন্ন হলে, সেগুলি ঠিক করার জন্য ফেরত চাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সরকারের। অন্য দিকে, গডকড়ী জানিয়েছেন, ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ভারতের রাস্তায় মোট ৩,৮০,৪০৯টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বড় ও ছোট গাড়ি, ট্যাক্সি এবং ভ্যান।

বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ঘটা পথ দুর্ঘটনার বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের মত, অঘটনের নেপথ্যে মানুষের ভুল, রাস্তা, পরিবেশ এবং গাড়ির অবস্থা দায়ী থাকে। গাড়ির যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়াতে ইতিমধ্যেই সরকার সমস্ত প্যাসেঞ্জার গাড়ির চালক ছাড়াও সামনের যাত্রীর জন্য এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করেছে। আবার এ বছর থেকেই সমস্ত যাত্রী গাড়িতে নিদেনপক্ষে ছ’টি এয়ারব্যাগ আবশ্যিক করার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। এর ফলে ছোট গাড়ির দাম বেড়ে যেতে পারে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে একাধিক সংস্থা। যার মধ্যে অন্যতম দেশের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)।

আবার দেশের সমস্ত গাড়িতে স্পিড লিমিটিং ডিভাইস অত্যাবশ্যক করেছে পরিবহণ মন্ত্রক। যার আওতা থেকে টু-হুইলার, থ্রি-হুইলার অ্যাম্বুলেন্স দমকল এবং পুলিশের গাড়িকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে গডকড়ী বলেন, “সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে, যাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, BMS এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরিতে সুরক্ষার মাপকাঠি চালু করা যায়। সম্প্রতি দেশে একাধিক বৈদ্যুতিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্যই এই পদক্ষেপ।”