সবচেয়ে কম সময়ে কন্যাকুমারী থেকে লাদাখ পাড়ি, এশিয়ান বুক রেকর্ডসে নাম তুলল Gravton Quanta EV

হায়দ্রাবাদের ইলেকট্রিক ভেহিকেল স্টার্টআপ Gravton Motors-এর মুকুটে যোগ হল নয়া সাফল্যের পালক। Gravton Quanta ইলেকট্রিক বাইকটির হাত ধরেই এই সাফল্য পেয়েছে সংস্থাটি। মোপেড এবং বাইকের সংমিশ্রণে তৈরি এই ইলেকট্রিক টু-হুইলারটি নিজের কেরামতি দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। কী সেই কেরামতি? মাত্র ৬.৫ দিনে (১৬৪ ঘন্টা ও ৩০ মিনিট) ৪০১১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে এটি। যা সত্যিই অবিশ্বাস্য!

কন্যাকুমারী থেকে খারদুং লা-কে (লাদাখ) এক কথায় কে২কে (K2K)-কে ভারতের মধ্যে সর্বাধিক দুর্গম যাত্রাপথ (৪০১১.৯ কিমি) হিসেবে ধরা হয়। যা কম সময়ে পাড়ি দিতে রাইডাররা সাধারণত কোনো শক্তিশালী অ্যাডভেঞ্চার অথবা বড় ইঞ্জিনের বাইকের ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আকারে ছোটখাটো এই বৈদ্যুতিক বাইকটিতে চেপে তা মাত্র ৬.৫ দিনে সম্পন্ন করা হয়েছে৷ অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে যা অকল্পনীয়।

যাত্রাপথের মাঝে বিরতি বলতে, কোনো ইভি চার্জিং স্টেশন থেকে ব্যাটারি বদলের জন্য যেটুকু সময় লাগে সেটুকুই। বাকি সময়টুকু দু-চাকার গতিতে বিরাম আসেনি। যাত্রাটি শুরু হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ এবং শেষ হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১-এ। এই রেকর্ডের জন্য সংস্থার নাম ‘এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস’ (Asia Book of Records)-এ স্থান পেয়েছে।

এই প্রসঙ্গে Gravton Motors-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও পরশুরাম পাকা (Parshuram Paka) বলেছেন, “গত এক বছর ধরে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ভেহিকেল বাজারে লঞ্চ হওয়া ও তাদের কার্যকারিতার উপর এই শিল্পক্ষেত্রটি বিভিন্ন চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। আমাদের ডিজাইন এবং তৈরি করা বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলি যে পেট্রোল চালিত যানবাহনের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়, তা প্রমাণ করতে এবং একটি দৃঢ় বিশ্বাস তৈরি করতে, আমরা এই দুর্গম পথটি পেরোনোর জন্য Quanta-কে বেছে নিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছিল Gravton Quanta৷ ভারতের বাজারে এর দাম ৯৯,০০০ টাকা (এক্স-শোরুম)। মোট তিনটি রঙের বিকল্পে বেছে নেওয়া যায় ই-বাইকটি – লাল সাদা এবং কালো। সংস্থার দাবি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই মোটরসাইকেলটি গঠনগত দিক থেকে সম্পূর্ণ ভারতীয়। অন্যদিকে হায়দ্রাবাদের চেরলাপল্লীতে তৈরি হতে চলেছে এদের কারখানা।