Hero-Harley Davidson জুটির প্রথম বাইক ভারতে এল, চাপে পড়বে Royal Enfield?

২০২০ সালে দেশের বৃহত্তম টু-হুইলার নির্মাতা হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) আমেরিকার প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী হার্লে-ডেভিডসন (Harley-Davidson)-এর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছিল। সেই থেকে ভারতে হার্লির বাইক বিক্রি…

২০২০ সালে দেশের বৃহত্তম টু-হুইলার নির্মাতা হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) আমেরিকার প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী হার্লে-ডেভিডসন (Harley-Davidson)-এর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছিল। সেই থেকে ভারতে হার্লির বাইক বিক্রি ও পরিষেবার দায়িত্বে হিরো। প্রতিদানে হিরো মার্কিন সংস্থাটির থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হদিশ পায়। শোনা যাচ্ছিল, দুই প্রতিষ্ঠান জুটি বেঁধে সাশ্রয়ী মূল্যের কোয়ার্টার লিটার এবং মিডল-ওয়েট মোটরসাইকেল ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের বাজারে আনতে চলেছে। যার মূল প্রতিপক্ষ Royal Enfield।

সূত্রেহ দাবি, সম্প্রতি ডিলারদের হিরো মোটোকর্প তাদের আসন্ন কয়েকটি মোটরসাইকেল দেখিয়েছে। যার মধ্যে একটি হল ক্রুজার মডেল। সেটিতে কোনও ব্র্যান্ডিং বা লোগো নজরে পড়েনি। এটি ডিজাইনের নিরিখে Harley-Davidson 338R-এর অনুরূপ। জানা গিয়েছে, হিরো মডেলটির স্টাইলিং ও ফিচার সম্পর্কে মতামত চেয়েছে।

দ্বিতীয় মোটরসাইকেলেও লোগো বা ব্র্যান্ডিং কিছুই নেই। আগ্রাসী স্টাইলিং এবং সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন রয়েছে এতে। এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, হার্লে-ডেভিডসন সাশ্রয়ী মূল্যের বাইক তৈরির জন্য সরকারের ছাড়পত্র পেয়েছে। যাদের অন্তরবর্তী নাম HD350 ও HD500। বাইক দু’টি বাজারে আসতে পারে X350 ও X500 নামে।

Hero-Harley Davidson

ছোট মোটরসাইকেলটিতে থাকতে পারে একটি ৩৩৮ সিসি টুইন সিলিন্ডার ইঞ্জিন। আবার আরেক সূত্র বলছে, ৩৫৩ সিসি ইঞ্জিনও ব্যবহার করা হতে পারে ক্রুজারটিতে। হার্ডওয়ার্ডের মধ্যে ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, মাল্টি স্পোক হুইল এবং পেটাল ডিস্ক ব্রেকের দেখা মিলবে। ইঞ্জিনের আউটপুট ৩৬ বিএইচপি হওয়ার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টায় ১৪৩ কিলোমিটার। অন্যদিকে বড় ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলটি হবে ৫০০ সিসি-র, যা থেকে ৪৭ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন হবে। সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠবে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার।