বাজার কাঁপাতে হাজির Hero Super Splendor XTEC, এই দুর্ধর্ষ বাইকের 5 অজানা তথ্য

দেশের বৃহত্তম টু-হুইলার নির্মাপা হিরোর মটোকর্পের স্প্লেন্ডার (Splendor) বাইকটির কদর ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলিতেও যথেষ্টই বেশি। কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং অতিরিক্ত তেল সাশ্রয় ক্ষমতার জন্য…

দেশের বৃহত্তম টু-হুইলার নির্মাপা হিরোর মটোকর্পের স্প্লেন্ডার (Splendor) বাইকটির কদর ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলিতেও যথেষ্টই বেশি। কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং অতিরিক্ত তেল সাশ্রয় ক্ষমতার জন্য তথাকথিত গ্রামাঞ্চলের মানুষজনের কাছে এই বাইকটির জনপ্রিয়তা বেশ চোখে পড়ার মতো। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই বাইকে নানা আপডেট নিয়ে এসেছে হিরো। বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ মডেলটি। খুব সম্প্রতি একঝাঁক আধুনিক ফিচারের সঙ্গে Super Splendor XTEC লঞ্চ করেছে হিরো। এই প্রতিবেদনে মোটরসাইকেলটির অজানা তথ্যগুলি তুলে ধরা হল।

Hero Super Splendor XTEC: লুকস

যে কোনো বাইকের ক্ষেত্রে তার বাহ্যিক ডিজাইন প্রতিটি মানুষের নিজস্ব পছন্দের উপর নির্ভর করলেও, হিরো সুপার স্প্লেন্ডার এক্সটেক বাজার চলতি আর পাঁচটি সাধারণ বাইকের তুলনায় খানিক ভিন্ন। একদম শুরুতেই এর নতুন এলইডি হেডল্যাম্প এবং ভাইজার চোখে পড়বে। এর পাশাপাশি নতুন ধরনের রিম টেপ এবং সারা গায়ে নতুন গ্রাফিক ডিজাইনের ফলে বেশ নতুনত্বের ছোঁয়া মেলে এখানে। গ্লস ব্ল্যাক, ক্যান্ডি ব্ল্যাজিং রেড এবং ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে এই তিনটি পেইন্ট স্কিম রয়েছে এই বাইকে।

Hero Super Splendor XTEC: ফিচার

কমিউটার বাইক হওয়া সত্ত্বেও সুপার স্প্লেন্ডার এক্সটেক ভার্সনে একগুচ্ছ অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে হিরো। ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল ব্যবহৃত হয়েছে এখানে। তাতে লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর, রিয়েল টাইম মাইলেজ সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী দেখতে পাওয়া যায়। তাছাড়াও সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ এবং ইউএসবি চার্জার এর মত সুবিধা রয়েছে এতে।

Hero Super Splendor XTEC: ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি

আজকালকার দিনের বেশিরভাগ বাইকেই ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির মাধ্যমে নিজের মোবাইল ফোনটি সংযুক্ত করা যায়। সুপার স্প্লেন্ডার এক্সটেক বাইকটিতে ব্লুটুথ সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম ফোনের কল এবং এসএমএস অ্যালার্ট ও ফোনের ব্যাটারি লেভেল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে দেখতে পাওয়া যাবে।

Hero Super Splendor XTEC: স্পেসিফিকেশন এবং মাইলেজ

সুপার স্প্লেন্ডার এক্সটেক সাধারণ মডেলের মতোই ১২৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত। যা ৭,৫০০ আরপিএম গতিতে ১০.৭ বিএইচপি এবং ৬,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১০.৬ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। এর সাথে যুক্ত রয়েছে হিরোর নিজস্ব i3s আইডেল স্টার্ট/স্টপ সিস্টেম। নির্মাতার দাবি অনুযায়ী প্রতি লিটার পেট্রোলে প্রায় ৬৮ কিমি চলার ক্ষমতা রাখে সুপার স্প্লেন্ডার এক্সটেক মডেলটি।

Hero Super Splendor XTEC: মূল্য এবং ভ্যারিয়েন্ট

মোটরসাইকেলটি ড্রাম এবং ডিস্ক এই দুটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ। ড্রাম ভ্যারিয়েন্টের এক্স শোরুম মূল্য ৮৩,৩৬৮ টাকা (এক্স-শোরুম) হলেও ডিস্ক সংস্করণের দাম পড়বে ৮৭,২৬৮ টাকা (এক্স-শোরুম)।