অবশেষে লেজেন্ডের প্রত্যাবর্তন, অলরাউন্ডার বাইক প্রকাশ্যে এনে হৈচৈ ফেলে দিল Honda

পুরনো দিনের স্মৃতিকে আবারো উস্কে দিল হোন্ডা (Honda)। মিলান মোটরসাইকেল শো-তে নতুন আঙ্গিকে অ্যাডভেঞ্চার বাইক অবতারে ট্রানসাল্প (Transalp) নিয়ে হাজির হল তারা। বেশ ক’মাস ধরেই…

পুরনো দিনের স্মৃতিকে আবারো উস্কে দিল হোন্ডা (Honda)। মিলান মোটরসাইকেল শো-তে নতুন আঙ্গিকে অ্যাডভেঞ্চার বাইক অবতারে ট্রানসাল্প (Transalp) নিয়ে হাজির হল তারা। বেশ ক’মাস ধরেই Honda XL750 Transalp বাইকটিকে নিয়ে যথেষ্টই গুঞ্জন চলছিল। অবশেষে সব আলোচনায় ইতি টানলো জাপানের এই সংস্থা। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে প্রথম সর্বসম্মুখে আসে হোন্ডার এই আইকনিক বাইক ট্রানসাল্প। তখন এটিকে চলার শক্তি জোগাত ৫৮৩ সিসির ভি-টুইন ইঞ্জিন। পরবর্তীতে ২০০০ সালে এই ইঞ্জিনের ক্ষমতা বাড়িয়ে করা হয় ৬৪৭ সিসি। এরপর ২০০৮ সালে তা হয় ৬৮০ সিসি। শেষমেষ ২০২৩-এর এই নতুন ভার্সনে ব্যবহার করা হয়েছে ৭৫৫ সিসির প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন যা আদতে CB750 Hornet থেকেই নেওয়া। চলুন সব ধরনের রাস্তায় চলতে সক্ষম এই অলরাউন্ডার বাইক সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

Honda XL750 Transalp ডিজাইন

নতুন হোন্ডা এক্সএল৭৫০ ট্রানসাল্প বেশ লম্বা ও ছিমছাম ডিজাইন নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। সামনে রয়েছে সিবি৫০০এক্স-র ন্যায় ফেয়ারিং এবং আফ্রিকা টুইন-এর মত বডি প্যানেল। এর উপরে রয়েছে এমন গ্রাফিক্স যা ১৯৮০ সালের নস্টালজিকতাকে উস্কে দেয়। বাইকটির সামনে ও পিছনে যথাক্রমে ২১ ইঞ্চি ও ১৮ ইঞ্চির স্পোক যুক্ত চাকা ব্যবহার করা হয়েছে যা অ্যাডভেঞ্চার বাইক হিসাবে উঁচু-নীচু পথে চলার জন্য উপযুক্ত।

প্রসঙ্গত, বিগত ১৯৮০ সালে লঞ্চ হওয়া এই ট্রানসাল্প প্রথম বিশ্ববাসীকে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের স্বাদ অনুভব করিয়েছিল। এর সিটের উচ্চতা ৮৫০ মিমি (অপশনাল হিসেবে ৮২০ মিমি পাওয়া যায়) ও তেল ধারণ ক্ষমতা ১৬.৯ লিটার। ফুয়েল ট্যাংকটি সম্পূর্ণ ভর্তি অবস্থায় ওজন ২০৮ কেজি। এছাড়াও হোন্ডার তরফ থেকে বাইকটির সঙ্গে মিলবে নানা রকম ট্রাভেলিং অ্যাক্সেসরিজ।

Honda XL750 Transalp ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

হোন্ডা এক্সএল৭৫০ ট্রানসাল্প-কে চালিকা শক্তি যোগায় ৭৫৫ সিসির প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন, যা ৯০.৫ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৭৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। উপরন্তু ইঞ্জিনের সাথে রয়েছে স্লিপার ক্লাচ।

Honda XL750 Transalp সাসপেনশন ও ব্রেকিং সিস্টেম

সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনের চাকায় রয়েছে Showa থেকে নেওয়া ৪৩ মিমি ইউএসডি ফর্ক, যা ২০০ মিমি পর্যন্ত অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব। দীর্ঘ রাস্তা চলার পাশাপাশি অফ-রোড এর ক্ষেত্রেও সমান পারদর্শী এটি। পিছনের দিকে রয়েছে একই কোম্পানির ১৯০ মিমি অ্যাডজাস্টেবল শক অ্যাবজর্ভার। বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ২১০ মিমি। এছাড়াও সামনের চাকায় ৩১০ মিমি ডুয়েল ডিস্ক যুক্ত বেকিং সিস্টেম ও এবিএস উপলব্ধ।

Honda XL750 Transalp ফিচার্স

হোন্ডা ট্রানসাল্প বাইকটিতে রয়েছে একটি পাঁচ ইঞ্চি টিএফটি ডিসপ্লে। এছাড়াও এতে স্পোর্ট, স্ট্যান্ডার্ড, রেইন, গ্রাভেল সহ নিজস্ব পছন্দ মত আরও একটি মোড দেওয়া হয়েছে। রাইডার তার পছন্দমত চার ধরনের পাওয়ার, তিন ধরনের ইঞ্জিন ব্রেকিং ও পাঁচ ধরনের ট্র্যাকশন কন্ট্রোল অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন। উপরন্তু অফ-রোডিং এর সময় ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম ও পিছনের চাকার এবিএস বন্ধ রাখা সম্ভব। ব্লুটুথ এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন এতে সংযুক্ত করা যাবে।