Hop Oxo: দেশীয় সংস্থার বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল আসছে বাজারে, প্রচুর পরীক্ষার পর লঞ্চের ছাড়পত্র মিলল, 150 কিমি রেঞ্জ

ভারতের বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ির বাজারে নতুন সংযোজন হিসেবে আসতে চলেছে Hop Oxo ইলেকট্রিক বাইক। উচ্চগতির বাইকটি বাজারে লঞ্চ হওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে। অবশেষে তা মিটতে চলেছে। কারণ এবার ভারতের অটোমোটিভ গবেষণা এবং উন্নয়ন সংগঠন অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ARAI)-র থেকে লঞ্চের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে এটি। এআরএআই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, লঞ্চের জন্য সমস্ত পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে হপ ইলেকট্রিক (HOP Electric)-এর উচ্চ গতির ফ্ল্যাগশিপ বৈদ্যুতিক বাইক Oxo

১৪টি রাজ্যে ৭৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি পাড়ি দিয়ে হপ তাদের ব্যাটারিচালিত মোটরসাইকেলের পরীক্ষা চালিয়েছে‌। পূর্বে সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ জানিয়েছিল, ওই সফর থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে সমস্ত খামতিগুলি ঢেকে একটি সম্পূর্ণ পণ্য হিসাবে Oxo মডেলটি তৈরি করে তারপরেই বাজারে আনা হবে। বাইকটির রেঞ্জ ১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি হবে। ঘন্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারবে। অনুমান, অফিশিয়াল লঞ্চ জুলাই বা অগাস্টে হতে চলেছে।

হপ জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে ২,০০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ লগ্নি করবে তারা। গত এক বছরের কম সময়ে ভারতের ১০০-র বেশি শহরে তারা শোরুম খুলেছে হপ। সংস্থাটির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও কেতন মেহতা বলেন, “ARAI-এর শংসাপত্র এবং ভারত সরকারের পিএলআই স্কীমের অধীনস্থ (ওইএম নয় এমন বিভাগ) হওয়া একটি অত্যন্ত সন্তোষজনক কীর্তি।”

মেহতা যোগ করেন, “এই কৃতিত্ব স্পষ্ট করে যে, একটি সংস্থা হিসেবে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ বৈদ্যুতিক যানবাহন বাজারে নিয়ে আসার জন্য ভারতীয় গবেষণা এবং উন্নয়ন দক্ষতা সম্পন্ন একটি দেশীয় ব্র্যান্ডের বিকাশের দিকে আমাদের প্রচেষ্টা চলছে। এগুলি হল গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এবং দীর্ঘস্থায়ী গতিশীলতার পথে Hop ইলেকট্রিকের দক্ষতা এবং শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষ্য।”  উল্লেখ্য, বর্তমানে Leo ও LYF নামে দু’টি ই-স্কুটার রয়েছে তাদের। জয়পুরে কারখানায় খুব শীঘ্রই আসন্ন অক্সোর উৎপাদন চালু হবে বলে জানা গিয়েছে‌।