স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ একলাফে বেড়ে যাবে অনেকটাই, জেনে নিন ব্যাটারি দ্রুত নিঃশেষ হলে কী করবেন

প্রযুক্তির কৃপাদৃষ্টিতে এক দশকের ভিতরেই আমরা ফিচার ফোন থেকে স্মার্টফোনে আপগ্রেড হওয়ার সফর পূর্ণ করেছি। ১০ বছর আগের মোবাইলের তুলনায় এখনকার স্মার্টফোনে থাকা প্রসেসর, ক্যামেরা…

প্রযুক্তির কৃপাদৃষ্টিতে এক দশকের ভিতরেই আমরা ফিচার ফোন থেকে স্মার্টফোনে আপগ্রেড হওয়ার সফর পূর্ণ করেছি। ১০ বছর আগের মোবাইলের তুলনায় এখনকার স্মার্টফোনে থাকা প্রসেসর, ক্যামেরা বা অপারেটিং সিস্টেম অনেক বেশি অ্যাডভান্স। কিন্তু ফিচার যতই উন্নত হোক না কেন, ডিভাইসের ব্যাটারি যদি দুর্বল হয় তবে, স্মার্টফোন ব্যবহারের কোন মজাই থাকে না। তাই স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাগুলি এখন ফাস্ট চার্জিং, পাওয়ার মোডের মতো ফিচারের সাথে বড়ো ব্যাটারি সমেত স্মার্টফোন লঞ্চ করছে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও অনেক সময়ে দেখা যায় মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। আপনার সাথেও যদি এমনটা হয় তাহলে, আজ আমরা এমন কয়েকটি উপায় আপনাদের জানাবো যেগুলিকে অনুসরণ করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়া আটকানো যাবে।

স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর উপায়

কীবোর্ড ভাইব্রেশন অফ করুন : মোবাইলে, কীবোর্ডে টাইপ করার সময়ে ক্যাপাসিটিভ টাচ বাটনে ট্যাপ করতেই একটা ভাইব্রেশন অনুভব হয়। অনেকে এটিকে ম্যানুয়ালি অন করে রাখেন। কিন্তু জানিয়ে রাখি, এই ফিচারটি অন থাকলে ডিভাইসের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হতে পারে। তাই আপনি যদি নিজের স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ কিছুটা হলেও বাড়াতে চান তাহলে এই কীবোর্ড ভাইব্রেশন অপশনটি এখনই অফ করে দিন।

অলওয়েজ অন ডিসপ্লে ফিচারকে ডিজেবল করুন : বর্তমান দিনের স্মার্টফোনগুলিতে অলওয়েজ অন ডিসপ্লে ফিচার থাকে। এই ফিচার যেমন কার্যকরী তেমনি ব্যাটারি শেষ হওয়ার জন্য দায়ী। তাই আপনার প্রয়োজন না হলে ফিচারটি বন্ধ করুন।

অ্যাপের লোকেশন অ্যাক্সেস ফিচারকে কাস্টমাইজ করুন : অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস স্মার্টফোনে ইনস্টল থাকা বেশির ভাগ অ্যাপ ইউজারদের কাছে লোকেশন অ্যাক্সেসের অনুমতি চায়। আর প্রত্যেকটি অ্যাপেই যদি লোকেশন অ্যাক্সেস অপশন এনাবেল থাকে তাহলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হতে পারে। তাই যে অ্যাপগুলির লোকেশন ট্র্যাক করার প্রয়োজন নেই, সেগুলির সেটিংসে গিয়ে লোকেশন ফিচার অফ করে দিন। এমনটা করলে, আপনার প্রাইভেসি বজায় থাকবে এবং সাথে ফোনের ব্যাটারি খরচও কম হবে।

অ্যাপ আপডেট মিস করবেন না : আমাদের অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস মোবাইলে হরেকরকমের অ্যাপ থাকে। এগুলিকে আপ-টু-ডেট রাখা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু, অ্যাপগুলির আপডেট ফাইলের সাইজ বড়ো হওয়ায়, অনেকেই প্রতিদিনের সীমিত ডেটা ব্যবহার করে এগুলির লেটেস্ট ভার্সন ডাউনলোড করতে পারেন না। কিন্তু জানিয়ে রাখি, অ্যাপগুলিকে আপডেট না করার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি। কারণ, ডেভেলপাররা ডিভাইসের ব্যাটারি এবং মেমোরি অপ্টিমাইজেশন উন্নত করতে তাদের অ্যাপকে আপডেট করতে থাকে। তাই অবশ্যই ফোনে থাকা অ্যাপ সময়ে সময়ে আপডেট করুন এবং মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচকে আটকান।

এয়ারপ্লেন মোড অন করুন : এয়ারপ্লেন মোডে থাকাকালীন আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি কম খরচ হয়। তাই সারাদিনে যেটুকু সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন না বা যখন আপনি ঘুমোতে যাবেন তখন এয়ারপ্লেন মোড অন করে রাখতে পারেন।

অন-স্ক্রিন উইজেটকে সরান : অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম অনেক ধরণের উইজেট (widget) নিয়ে গঠিত। এই কার্যকরী উইজেটগুলির মাধ্যমে আমরা স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতে থাকা নানাবিধ অ্যাপ্লিকেশনকে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু, এগুলি মোবাইলের ব্যাটারিকে দ্রুত নিঃশেষও করে দেয়। তাই যেই সকল উইজেট আপনাদের কাজে লাগে না, সেগুলিকে অবিলম্বে রিমুভ বা সরিয়ে দিন মোবাইলের থেকে। এমনটা করলে ব্যাটারি কম খরচ হবে।

অটো-স্ক্যান অপশন ডিজেবল করুন : আমরা যাতে প্রতি মুহূর্তে লেটেস্ট খবরা-খবর পেতে থাকি তার জন্য, জিমেইল, টুইটার, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি অ্যাপগুলি স্বয়ং রিফ্রেশ হতে থাকে। যদিও এই অটো-রিফ্রেশ বা অটো-স্ক্যানের জন্য মোবাইল ব্যাটারি খরচও অনেকটা বেড়ে যায়। তাই, ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফকে বুস্ট করতে আপনারা অ্যাপগুলির অটো-স্ক্যান ফিচার অফ করে দিতে পারেন। এর জন্য আপনাদের, স্মার্টফোনের Settings -এ থাকা Google Account অপশনে যেতে হবে। তারপর, Auto-Sync অপশনকে ডিজেবল করে দিতে হবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন