স্মার্টফোন নিরাপদ কীভাবে রাখবেন, জানুন দরকারি টিপস

বর্তমানে স্মার্টফোন শুধু আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম মাত্র নয়। একই সাথে এটি আমাদের ই-ওয়ালেট, ব্যাঙ্কিং ও অন্যান্য কাজের সহায়ক এবং যে কোনো লেনদেনের প্রধান ভরসা। সুতরাং…

বর্তমানে স্মার্টফোন শুধু আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম মাত্র নয়। একই সাথে এটি আমাদের ই-ওয়ালেট, ব্যাঙ্কিং ও অন্যান্য কাজের সহায়ক এবং যে কোনো লেনদেনের প্রধান ভরসা। সুতরাং আজকের দিনে স্মার্টফোনের নিরাপত্তার বিষয়টি হেলাফেলা করলে চলে না। প্রতিনিয়ত আমাদের স্মার্টফোনের সুরক্ষার ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। সেটা না হলে যে কোন মুহূর্তে আমাদের বড় কোন ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

স্মার্টফোন নিরাপদ কীভাবে রাখবেন

স্মার্টফোনের নিরাপত্তাকে মজবুত রাখতে আলাদা করে টাকা খরচের কোন দরকার নেই। বর্তমানে স্মার্টফোনগুলিতে বহু ইন-বিল্ট সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা উপলব্ধ। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো সম্পর্কে আমরা উদাসীন থাকি। কিন্তু উক্ত নিরাপত্তার উপায়গুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শিখলে, ফোন অনেক বেশী সুরক্ষিত থাকে। আজ আমরা এমনই নয়টি উপায়ের কথা বলবো যা সাধারণ অবস্থায় ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের নিরাপত্তাকে অটুট রাখবে।

১. প্রথমেই আসে স্ক্রিন লকের প্রসঙ্গ। মোবাইল সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি একেবারে প্রথম ধাপ। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীগণ পিন, প্যাটার্ন, পাসওয়ার্ড বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাহায্যে ফোন লক করে রাখতে পারেন। ফোনটিকে আনলক করতে হলে আগ্রহীকে উপরোক্ত উপাদানগুলির মধ্যে যে কোনো একটি প্রদান করতে হবে।

২. স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখার জন্য লক-স্ক্রিনে সবরকম নোটিফিকেশনের বাড়বাড়ন্ত রোধ করুন। ফোন লক থাকাকালীন আপনি নিজে যে ধরনের নোটিফিকেশন দেখতে চান, সেইভাবেই অ্যাপের সেটিংস পরিবর্তিত করতে পারেন।

৩. অ্যান্ড্রয়েডের ‘Find My Device’ ফিচার (পূর্বে যার নাম ছিলে Android Device Manager) ফোনের নিরাপত্তাকে বজায় রাখার অপর এক অবলম্বন। উক্ত ফিচারটি সক্রিয় থাকলে ব্যবহারকারী সহজেই তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে তাকে ডিভাইসের Location বিকল্প সক্রিয় রাখতে হবে।

৪. স্মার্ট লক (Smart Lock) ফিচার ব্যবহার করে ব্যবহারকারী তার ফোনের সুরক্ষা বাড়াতে পারেন। এই ফিচার সক্রিয় করে তিনি প্রয়োজনের সময় ফোনটিকে আনলক অবস্থায় রাখতে পারেন।

৫. স্মার্টফোন সুরক্ষায় অপর নাম গুগল প্লে-প্রোটেক্ট (Google Play-Protect)। এটি ব্যবহারকারীকে ফোনে উপস্থিত ক্ষতিকারক অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে সতর্ক করে। শুধু তাই নয় উল্লিখিত ফিচার ক্ষতিকারক অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে ডিভাইস থেকে সরিয়ে দিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। এছাড়া কোনো অ্যাপ্লিকেশন গুগলের (Google) সফটওয়্যার পলিসি মেনে না চললে, ফিচার ব্যবহারকারীকে সচেতন বার্তা প্রেরণ করে।

৬. সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের নিজস্ব ক্রোম ব্রাউজার (Google Chrome) ব্যবহার করা সবথেকে ভালো। ফোনের নিরাপত্তা অটুট রাখতে এর ‘Safe Browsing Mode’ ফিচার সক্রিয় করা যেতে পারে।

৭. এছাড়াও স্মার্টফোনে মজবুত নিরাপত্তার জন্য বারবার গুগল‌ (Google) সিকিউরিটি চেকআপে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে।

৮. থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশনগুলি আমাদের ডিভাইসে কি জাতীয় অ্যাক্সেস দাবী করে, বিশেষত ব্যবহারকারীর গুগল অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত কোন তথ্যগুলি ব্যবহারে তারা সক্ষম, সে সম্পর্কে সতর্ক দৃষ্টি রেখেও আমরা আমাদের মোবাইলের নিরাপত্তাকে জোরদার করতে পারি।

৯. গুগলের (Google) পরিষেবার সাহায্য নিয়ে আমরা আমাদের দুর্বল এবং ক্ষতিগ্রস্ত পাসওয়ার্ডগুলিকে বদলে নিতে পারি। এভাবেও নিজস্ব ডিভাইসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন