Smartphone Sim: একটি ফোনে ৩টি সিম কীভাবে চালাবেন, এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন তো?

গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি আসছে স্মার্টফোনে। যেমন ফিচার ফোন থেকে স্মার্টফোনে আপগ্রেড হওয়া বা সিমকার্ডের সাইজ ম্যাক্রো বা ন্যানোতে বদলে ফেলার মতো…

গ্রাহকদের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি আসছে স্মার্টফোনে। যেমন ফিচার ফোন থেকে স্মার্টফোনে আপগ্রেড হওয়া বা সিমকার্ডের সাইজ ম্যাক্রো বা ন্যানোতে বদলে ফেলার মতো কাজের উল্লেখ করা যেতে পারে। আবার, আগেকার ফোনে যেখানে একটি মাত্র সিম স্লট থাকতো, এখন ইউজারদের প্রয়োজনের খাতিরে স্লটের সংখ্যা বাড়িয়ে দুটি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে এমন মোবাইল খুব কমই পাওয়া যাবে, যা ডুয়েল-সিম সাপোর্টেড নয়। কিন্তু, এখন অনেকেই তিনটি-চারটি সিম ব্যবহার করে থাকেন এবং একটি মাত্র ফোনে এতগুলি সিম সেট করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে, আমরা যদি বলি একটি ফোনেই সর্বাধিক ৫টি সিম ব্যবহার করা যাবে তাহলে? আজ্ঞে হ্যাঁ একদম ঠিক দেখছেন। এই অসম্ভব ঘটনা সম্ভব হবে e-SIM পদ্ধতির মাধ্যমে। জানিয়ে রাখি, e-SIM বা এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল সরাসরি স্মার্টফোনে এম্বেড করা যায়। আর এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটিমাত্র ফোনে একসাথে ৫টি সিম চালনা করতে পারবেন। আসুন তাহলে কীভাবে e-SIM অ্যাক্টিভ করা যায় এবং সর্বাধিক ৫টি সিম একত্রে চালনা করা যায় তা জেনে নেওয়া যাক এবার।

একটি ফোনে একাধিক সিম কার্ড কীভাবে ব্যবহার করবেন (how to use multiple sim in one phone)

ই-সিমের (e-SIM) সাহায্যে ব্যবহারকারীরা সিম কার্ড ছাড়াই ফোন, মেসেজ, বা ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ ফিজিক্যাল সিম-বিহীন টেলিকম পরিষেবার লাভ ওঠাতে পারবেন। যাইহোক, আজকাল অনেক ফোনেই ই-সিম ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ই-সিমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল আপনি যদি কখনও আপনার নেটওয়ার্ক প্রদানকারী সংস্থা পরিবর্তন করেন, তবে আপনাকে সিম কার্ড পরিবর্তন করতে হবে না। একই সাথে, ফোন ড্যামেজ বা ভেঙ্গে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই সিমটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আপনি যদি রিলায়েন্স জিওর (Reliance Jio) গ্রাহক হন, তবে আপনি আপনার নিকটস্থ জিও স্টোর থেকে ই-সিম কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, ই-সিম জন্য আবেদন করার ও সেটিকে সক্রিয় করার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল :

১. আপনি যদি রিলায়েন্স জিও সংস্থার ই-সিম ব্যবহার করতে চান, তাহলে একটি নতুন সিম কানেকশন পাওয়া জন্য আপনাকে নিকটস্থ রিলায়েন্স ডিজিটাল বা জিও স্টোরে যেতে হবে। আর, যদি নিকটতম জিও স্টোর সনাক্ত করতে সক্ষম না হন, তবে আপনি সংস্থা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিকটতম স্টোরটি অনুসন্ধান করতে পারেন।

২. এরপর, ই-সিমের আবেদন করার জন্য আপনাকে আপনার ছবি এবং পরিচয়পত্র (আইডেন্টিটি কার্ড) জমা দিতে হবে স্টোরে।

৩. তারপর, নতুন জিও ই-সিম সংযোগ সক্রিয় করতে, আপনাকে স্মার্টফোনে একটি ফিচার ডাউনলোড করতে হবে।

৪. ই-সিম টেকনোলজির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিভাইসগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সিম কনফিগার করে নেবে।

৫. আপনি যদি ভুল করে ডাউনলোড করা ই-সিম ডিলিট করে ফেলেন, তাহলে পুনরায় আপনাকে নিকটবর্তী জিও স্টোরে গিয়ে এম্বেডেড-সিম কার্ডটি সক্রিয় করতে হবে।

e-SIM এর কার্যকারিতা ও এটি ব্যবহারের জন্য কি ধরনের ফোন দরকার? (The functionality of e-SIM and what kind of phone you need to use it)

অ্যাপল (Apple) এর আইফোন (iPhone) এবং বাছাই করা কয়েকটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ই-সিমের সাপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, কার্যকারিতার কথা বললে, ফোনে থাকা ফিজিক্যাল স্লটে দুটি সিম সেট করা যাবে। এবার একাধিক সিম কার্ড ব্যবহারের জন্য ই-সিম আছে, যা ইনস্টল না করেও ভার্চুয়াল ই-সিম স্লটে ব্যবহার করে ফোনে এম্বেড করা সম্ভব। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, একাধিক সিমের সাপোর্ট পাওয়া গেলেও, একবারে একটি মাত্র ই-সিম কাজ করবে ফোনে। তবে, আপনি চাইলে প্রয়োজন অনুসারে সিম কার্ড সুইচ বা পরিবর্তন করতে পারবেন। Reliance Jio এর ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্যবহারকারীরা একটি ফোনে একাধিক ই-সিম প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। তবে তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে, নিরাপত্তার খাতিরে একটি ফোনে সর্বাধিক তিনটি ই-সিম প্রোফাইল তৈরি করা উচিত।