এক চার্জে Smartphone চলবে দুদিন, জেনে নিন ব্যাটারি লেভেল ধরে রাখার গোপন মন্ত্র

মোবাইলের ব্যবহার আজ শুধু দূরে থাকা মানুষের সাথে কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরঞ্চ সময়ের সাথে স্মার্টফোনে রূপান্তরিত হয়ে এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের…

মোবাইলের ব্যবহার আজ শুধু দূরে থাকা মানুষের সাথে কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরঞ্চ সময়ের সাথে স্মার্টফোনে রূপান্তরিত হয়ে এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। কল, মেসেজ ছাড়াও মোবাইল ফোন এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা, নানাবিধ বিনোদন কন্টেন্ট অ্যাক্সেস করা, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি নানা ধরণের কাজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে যেহেতু এই জিনিসটি আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী, তাই এতে ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকা আবশ্যক। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যে, প্রচুর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি দেখে স্মার্টফোন কিনলেও তা মনোমত ব্যাকআপ দেয়না। তাছাড়া একটু কম ব্যাটারির ফোন কিনলে তো কথাই নেই – বারবার সেটিকে চার্জে বসাতে হয়। তবে আপনি যদি নিজের মুঠোফোন নিয়ে এরকম সমস্যায় থাকেন, তাহলে আমাদের এই প্রতিবেদন আপনার ব্যাপক কাজে আসবে। কারণ এখানে আমরা কিছু দরকারী টিপস শেয়ার করব যার সাহায্যে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যাবে, এমনকি একবার চার্জে তা ব্যবহার করা যেতে পারে আগামী দুদিন ধরে। আসুন জেনে নিই বিশদ…

ফোনে চার্জ থাকবে দীর্ঘক্ষণ, শুধু মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

১. ব্রাইটনেস কম রাখুন: স্মার্টফোনের স্ক্রিনের ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে রাখলে ব্যাটারি লেভেল তাড়াতাড়ি কমে যায়। তাই হয় স্ক্রিন ব্রাইটনেস অটোমেটিক মোডে রাখুন অথবা ব্রাইটনেস স্লাইডার কমিয়ে রাখুন।

২. নির্দিষ্ট সময়ে স্ক্রিন লক: একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর স্মার্টফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে গেলে, স্মার্টফোনের স্ক্রিন ব্যবহার হবেনা এবং ব্যাটারি ব্যাকআপও বাঁচবে। তবে স্ক্রিন লক বা অফ টাইমের সময় বেশি মাত্রায় সেট করে রাখলে সেক্ষেত্রে চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হয়, তাছাড়া স্ক্রিন বারবার লক-আনলক করলেও ব্যাটারি ব্যাকআপের ওপর প্রভাব পড়ে।

৩. অপ্রয়োজনীয় অপশন বন্ধ করুন: যখন আমাদের ইন্টারনেট বা অন্যান্য কানেক্টিভিটির প্রয়োজন হয়না বা এগুলি ব্যবহার হয়না, তখন ফোনের মোবাইল ডেটা, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই এবং জিপিএসের মতো নেটওয়ার্ক কানেকশন অপশনগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এতে ব্যাটারি বাঁচবে।

৪. সময়ে সময়ে আপডেট করুন: সবসময় স্মার্টফোনটিকে লেটেস্ট সফ্টওয়্যার ভার্সনে আপডেট করুন, আপডেট করুন অ্যাপগুলিকেও। এতে ফোনের অভ্যন্তরীণ অপ্টিমাইজেশান উন্নত হবে এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়বে৷

৫. ব্যাটারি সেভার অ্যাপ ব্যবহার: কিছু অ্যাপ্লিকেশন স্মার্টফোন সেটিংস অপ্টিমাইজ করে ব্যাটারি সেভার মোড সক্রিয় করে দেয়। এইসব অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি
ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে পারবেন। এছাড়া চাইলে আপনি ফোনের বিভিন্ন অ্যাপের ব্যাটারি খরচ দেখে সেটিং থেকে তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।