Loan Scam: ফেসবুকে মুহূর্তে লোন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি, ৯০ হাজার টাকা খোয়ালেন ব্যক্তি

ভারতবর্ষে অনলাইন স্ক্যামের (Online Scam) ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত একবছরে একাধিক জালিয়াতির ঘটনা আইনি ভাবে নথিভুক্তও হয়েছে। আর নথিভুক্ত হওয়া এই স্ক্যামগুলি ‘টাস্ক…

ভারতবর্ষে অনলাইন স্ক্যামের (Online Scam) ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত একবছরে একাধিক জালিয়াতির ঘটনা আইনি ভাবে নথিভুক্তও হয়েছে। আর নথিভুক্ত হওয়া এই স্ক্যামগুলি ‘টাস্ক ফ্রড’ নামে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অনলাইন স্ক্যামগুলির মাধ্যমে প্রতারকেরা প্রতারিতদের কিছু নির্দিষ্ট অনলাইন কাজ দিয়ে এবং বিপুল আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অথবা বিভিন্ন সুবিধা সহ ইনস্ট্যান্ট লোনের প্রলোভন দেখায়। তারপর বিপুল পরিমাণে অর্থ প্রতারিতদের কাছ থেকে নিয়ে তারা গায়েব হয়ে যায়।

সম্প্রতি, নভি মুম্বাইয়ের ৫৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তিও এই ধরনের এক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ওই ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারিত করা হয় এবং এই জালিয়াতির ফলে তাকে ৯০,০০০ টাকা হারাতে হয়। লজিস্টিক সংস্থায় কাজ করা ওই ব্যক্তির করা অভিযোগ অনুযায়ী, ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে তিনি ২ ঘন্টার মধ্যে ইনস্ট্যান্ট লোন পাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন।

পিটিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ওই ব্যক্তি তার মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য লোনের খোঁজ করছিলেন। আর ৮ই নভেম্বর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লোনের বিজ্ঞাপন দেখেন। তারপর, তিনি ফিন্যান্স কোম্পানির কাছে অনলাইনে লোনের জন্য আবেদন করেন। আবেদন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভুক্তভোগী কোম্পানির প্রতিনিধি বলে দাবি করা ব্যক্তির কাছ থেকে কল পান। কলকারী ব্যক্তি লোনের প্রতিশ্রুতি দেবার সাথেই বীমা, জিএসটি, এনওসি, আরবিআই চার্জ সহ দুটি অগ্রিম কিস্তি বাবদ মত ৯০,০০০ টাকা জমা দিতে বলেন।

এরপর, প্রস্তাবটি বৈধ বলে বিশ্বাস করে ভুক্তভোগী সেই অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু, এরপরও তিনি লোন হিসেবে কোন টাকা না পেলে কলারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কল করার পর তার কাছ থেকে আরো অর্থ দাবি করলে তার মনের সন্দেহ জাগে এবং তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর কলম্বলি থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের প্রতারকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪২০ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে তদন্ত শুরু করা হয়।

এই ধরনের প্রতারণা থেকে কিভাবে নিরাপদে থাকবেন?

  • এই ধরনের স্ক্যাম থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য লোন সম্পর্কিত বিষয়ে কখনোই অনলাইনে অপরিচিত মানুষকে বিশ্বাস করবেন না।
  • ওয়েব ব্রাউজারে বা সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ব্যক্তিগত লোন, ফ্রিল্যান্স প্রোজেক্ট বা বিনিয়োগ করার পরামর্শ যুক্ত পোস্ট বা বিজ্ঞাপন দেখে অন্ধের মতো বিশ্বাস করবেন না।
  • কোনো প্রতিষ্ঠানকে বৈধ বলে বিশ্বাস করার আগে সেই প্রতিষ্ঠানের পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাকগ্রাউন্ড চেক না করে কোনোরকম টাকার লেনদেন করবেন না।