চার্জ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাচ্ছে? অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন সমস্ত ফোনের ব্যাটারি বাঁচানোর 5 সহজ টোটকা

স্মার্টফোনে দ্রুত ব্যাটারি নিষ্কাশনের সমস্যায় ভুগছেন? কিভাবে ব্যাটারির খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তার কিছু হদিস থাকলো নিবন্ধে।

Top 5 Tips To Improve Your Smartphones Battery Life

এই ব্যস্ততাময় জীবনে কয়েক ঘন্টার জন্য স্মার্টফোন হাতছাড়া করাও এখন অনেকের কাছে সমস্যার। তাই প্রত্যেক ইউজারই চান তাদের মোবাইল ফোনের ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘস্থায়ী হোক। ফোন পুরানো হয়ে গেলে ব্যাটারি দ্রুত নিঃশেষ হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, তবে এটি কতটা এবং কত দ্রুত নিষ্কাশন হয়, তা নির্ভর করে ব্যবহার এবং চার্জিং সাইকেলের মতো বিষয়গুলির ওপর। ফোনের ব্যাটারি সাধারণত লিথিয়াম আয়ন দিয়ে তৈরি। ব্যাটারির চার্জ সঞ্চয় করার ক্ষমতা এর ক্ষয়ের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। ব্যাটারির কত দ্রুত অবনতি হবে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও, কিছু কিছু বিষয় আছে যা নিয়ন্ত্রণে রাখলে ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আসুন তাহলে আইওএস/অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার ৫টি উপায় দেখে নেওয়া যাক।

এগুলি করলে বাড়বে স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ

১. ৩জি বা ৪জি-এর মতো ইন্টারনেট ডেটার পরিবর্তে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করুন৷ ইন্টারনেট ডেটা ওয়াই-ফাই-এর চেয়ে ৪০% বেশি শক্তি খরচ করে। তাই ওয়াই-ফাই-এ স্যুইচ করা অবশ্যই উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাটারি খরচ কমাতে সাহায্য করে।

২. ব্যাটারি সেভিং অপশনটি বেছে নিতে পারেন, যা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় ডিভাইসেই পাওয়া যায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাওয়ার সেভিং মোড নামে এই ফিচারটি পাবেন, আর আইওএস ডিভাইসে এটিকে লো পাওয়ার মোড বলা হয়। এই মোডে স্মার্টফোনের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (সিপিইউ) ব্যাটারির খরচ কমাতে বিভিন্ন অ্যাপ, নোটিফিকেশন, ব্রাইটনেস এবং বিভিন্ন হার্ডওয়্যার অপশনের ব্যবহার পরিবর্তন করে।

৩. ভিডিও কন্টেন্টের ব্যবহার সীমিত করা ফোনের ব্যাটারি প্রচুর পরিমাণে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে৷ ভিডিও প্রসেসিংয়ে শক্তির খরচ বেশি হয়।

৪. ফোনের ব্রাইটনেস কমানো সম্ভবত ফোনের কোনও কার্যকরী দিক নিয়ে আপস না করে ব্যাটারি বাঁচানোর সবচেয়ে সহজ উপায়গুলির মধ্যে একটি। অ্যান্ড্রয়েড ১০ এবং আইওএস ১৩ এবং তার পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেমে চলমান ডিভাইসগুলি ডার্ক মোড বা নাইট মোডের সুবিধা সাপোর্ট করতে শুরু করেছে যা শক্তির সাশ্রয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. এরোপ্লেন মোডে রাখলে ফোন সবচেয়ে কম ব্যাটারি খরচ করে৷ ডিভাইসটিকে এই মোডে রাখা হলে, জিএসএম, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ এবং জিপিএস-এর মতো সুবিধাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসেবল হয়ে যায়৷ একটি এয়ারপ্লেন মোডে ফোনটি স্ক্রিন বন্ধ থাকার সাথে তার স্বাভাবিক শক্তি খরচের মাত্র ৫% পর্যন্ত ব্যবহার করে।