PUBG Mobile-র প্রত্যাবর্তনে ফের প্রশ্নচিহ্ন; হিংসাত্মক বলে অভিহিত মন্ত্রীর

সরকারি বিধি-নিষেধের বেড়াজাল কাটিয়ে ভারতে ফের ব্যাটেল-রয়্যাল গেম PUBG Mobile উপলব্ধ হবে কিনা, সেই নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরে বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে। এমনও শোনা গেছে, গেমটির নির্মাতা সংস্থা ভারতে মোবাইল গেমটির রি-লঞ্চ করার জন্য উদগ্রীব হলেও, সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক প্রয়োজনীয় আলোচনায় বসতে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে, PUBG Mobile-এর জন্য নতুন করে অস্বস্তি সৃষ্টি করল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকারের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতপরশু একটি বক্তৃতা চলাকালীন জাভড়েকার এই জনপ্রিয় গেমটিকে হিংসাত্মক বলে উল্লেখ করেন। তাছাড়া এই গেমটির জন্য তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আসক্তি বাড়ছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

আসলে, জাভড়েকার বলেছেন যে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেটগুলির মাধ্যমে খেলা অধিকাংশ গেমই হিংসাত্মক এবং এগুলির শিশুদের মনে জটিলতা বাড়ানোর বা তাদের আসক্ত করার প্রবণতা রয়েছে। এই ধরণের গেমগুলির মধ্যে PUBG Mobile-কে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। তবে শুধু গেমগুলির সমালোচনা না করে, এগুলির প্রভাব প্রতিহত করার জন্য ‘আত্মনির্ভর’ সমাধানও বাতলেছেন তিনি।

রবিবার একটি ভার্চুয়াল প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেছেন যে, তাঁর মন্ত্রক ভিএফএক্স, গেমিং এবং অ্যানিমেশন সম্পর্কিত কোর্স শেখানোর জন্য একটি গেমিং সেন্টার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার সাহায্যে গেম তৈরি করে ভারতীয় সংস্কৃতি ও নীতির প্রচার করা হবে। এই সেন্টার গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, একটি সরকারি পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন।

এই গোটা বিষয়ে জাভড়েকারের অভিমত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভরসা করে, ভারতে ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক নীতি চিরস্থায়ী করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে দেশের শিশু এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভারতীয় মূল্যবোধ সঞ্চার হয়। সেক্ষেত্রে, সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিকে আরো মজবুত করতে উক্ত কোর্সগুলি এই বছর থেকেই শুরু হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে ভারত সরকার, শতাধিক চীন-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনের সাথে জনপ্রিয় PUBG Mobile গেমটিকে ব্যান করে। এরপর থেকেই ভারতে গেমটিকে ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে মালিক সংস্থা পাবজি কর্পোরেশন তথা ক্রাফটন। এই কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থাটি, তার ভারতীয় সার্ভারের দায়িত্ব থেকে চীনা কোম্পানি টেনসেন্টকে তো সরিয়েছে, পাশাপাশি এটি একটি সহকারী ভারতীয় শাখার রেজিস্ট্রেশনও করিয়েছে। এমনকি সামনে এসেছে গেমটির রি-লঞ্চের বিজ্ঞাপনী টিজারও। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে প্রকাশ জাভড়েকারের এই নতুন মন্তব্য, PUBG Mobile-এর প্রত্যাবর্তনের ওপর যে ফের প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসিয়ে দিল তা অনুমান করা শক্ত নয়।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন