Room Heater: কনকনে ঠান্ডায় উষ্ণতার আমেজ পেতে ভরসা রুম হিটার, কেনার আগে মাথায় রাখুন এই ৭টি বিষয়

নতুন বছরের সাথে সাথেই গোটা দেশে হাজির হয়েছে হাড় কাঁপানো শীতের মরসুম। আবহাওয়ার পারদ প্রতিদিনই একটু একটু করে নামছে। ফলত পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য জায়গার মানুষ এখন জবুথবু অবস্থায় রয়েছেন; এদিকে উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশ পড়েছে শৈত্যপ্রবাহের কবলে। আশা করা যায় এই কনকনে ঠাণ্ডা আরও কয়েক সপ্তাহ নিজের প্রভাব বিস্তার করে থাকবে। সেক্ষেত্রে এমত পরিস্থিতিতে লেপ-কম্বল, সোয়েটারে যদি আপনাকে পর্যাপ্ত উষ্ণতা দিতে না পারে, তাহলে শীতের থাবা থেকে বাঁচতে আপনি নিজের ঘরের জন্য একটি রুম হিটার কিনতে পারেন৷ কারণ এই হিটার আপনার বাড়িতে শীতের প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে। কিন্তু তাই বলে একেবারে হুট করে রুম হিটার কিনে ফেলবেন না, কারণ এটি কেনার সময় আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে; তবেই আপনি একটি ভালো প্রোডাক্ট হাতে পাবেন। হ্যাঁ ঠিকই বলছি, রুম হিটার কেনার সময় আপনাকে অন্তত ৭টি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।

রুম হিটার কিনতে চাইলে খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলি

১. বাজেট: হিটার বা অন্য কোনো প্রোডাক্ট কেনার সময় আগে ঠিক করে নিন যে আপনি ঠিক কত টাকা সেটির পেছনে খরচ করবেন। এরপর বাজেটের উপর ভিত্তি করে সঠিক হিটার বেছে নিন। এক্ষেত্রে, আপনি ১,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত বাজেটে প্রচুর রুম হিটার বিকল্প হিসেবে পাবেন।

২. ঘরের আকার: রুম হিটার কেনার সময় আপনাকে প্রোডাক্টটির কোয়ালিটি বা টাইপ, ঘরের আকার ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কেননা ঘরের আকার অনুযায়ী হিটার বেছে না নিলে সেটি তেমন কার্যকর হবেনা। যেমন, আপনি যদি কিউবিকালের মতো একটি ছোট জায়গার জন্য রুম হিটার কিনতে চান, তাহলে আপনাকে রেগুলার হ্যালোজেন হিটার বেছে নিতে হবে। একটু বড় জায়গার ক্ষেত্রে আপনি ফ্যান-ভিত্তিক রুম হিটার কিনতে পারেন।

৩. প্রয়োজন ঠিক করে নিন: বাজারে বিভিন্ন ধরনের রুম হিটার পাওয়া যায় – হ্যালোজেন হিটার, ফ্যান হিটার এবং অয়েল হিটার। এদের প্রত্যেকের নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ছোট জায়গার জন্য হ্যালোজেন হিটারগুলি উপযোগী হবে, কারণ এগুলি একাধিক উন্মুক্ত রড বা কয়েলের সাথে আসে। তাছাড়া এগুলি সাশ্রয়ী মূল্যের হয়ে থাকে এবং একটু কম শক্তি খরচ করে। অন্যদিকে ফ্যান হিটারগুলি মাঝারি আকারের ঘরের জন্য বেশ উপযুক্ত এবং এই দ্রুত কার্যক্ষমতাসম্পন্ন বিকল্পগুলি একাধিক টেম্পারেচর সেটিং, ফ্যানের স্পিড কন্ট্রোল এবং কাট-অফ ফাংশনসহ আসে। এগুলি হ্যালোজেন হিটারের তুলনায় কিছুটা নিরাপদ। তবে তিন নম্বর বিকল্প অর্থাৎ অয়েল হিটারগুলি বড় বড় ঘরে কাজ করে এবং এগুলিও সম্পূর্ণ নিরাপদ। তবে অন্য দুটি হিটারের তুলনায় এদের দাম বেশি, আর এগুলি তুলনামূলক ধীর গতিতে কাজ করে।

৪. স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্ভাবনা যাচাই: হ্যালোজেন এবং ফ্যান হিটারগুলি কাজের হলেও এগুলি চারপাশকে শুষ্ক করে দেয় এবং অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসলে এগুলি অক্সিজেনের মাত্রা এবং আর্দ্রতা হ্রাস করে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের নাক বন্ধ হওয়া, চোখ শুষ্ক হওয়ার মত নানা সমস্যা হতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অয়েল হিটার সম্পর্কে এই ধরনের কোন সমস্যার কথা শোনা যায়নি।

৫. ওয়াটেজ: শীতের জন্য রুম হিটার অত্যন্ত জরুরি বস্তু হলেও এটি আপনার বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে তুলতে পারে। একটি হিটারের ওয়াটেজ যত বেশি হবে, সেটি তত বেশি শক্তি খরচ করবে। তাই জায়গার বিস্তৃতি এবং রুম হিটারের ক্ষমতা বিবেচনা করে তবেই সেটিকে ঘরে আনুন।

৬. অটোমেটিক কাটঅফ: হিটার কেনার সময় অন্য কী ফিচার আছে তা দেখুন বা না দেখুন, অটোমেটিক কাটঅফ ফিচারের উপলভ্যতা অবশ্যই নিশ্চিত করবেন। কারণ হিটারে এই ফিচার থাকলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

৭. মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলিও: আপনি যে হিটারটি কেনার পরিকল্পনা করছেন তাতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ বা ফ্যান স্পিড নিয়ন্ত্রণের মত ইনবিল্ট সেটিং আছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখবেন।