চীনের ওপর ডিজিটাল স্ট্রাইক! মোদী সরকার বন্ধ করেছে এই সমস্ত অ্যাপ ও ওয়েবসাইট

দুই প্রতিবেশী দেশ, পাশাপাশি অবস্থান, দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক – কিন্তু তা সত্ত্বেও বর্তমানে ভারত ও চীনের মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই! আড়াই বছর আগে (২০২০ সালের জুনে) সংঘটিত সীমান্ত উত্তেজনার পর থেকেই পরিস্থিতির এই বদল ঘটেছে; কখনো চীন এদেশে একের পর এক বিধিনিষেধের গেরোয় পড়েছে, তো কখনো আবার দেশের বাসিন্দারা তার ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তবে এসবের মধ্যেই মোদী সরকার, ‘পড়শি’-র
ওপর সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল ধর্মঘট চালাচ্ছে, আর তা ২০২০ সালের আগে থেকেই! ভাবছেন, কেন একথা বলছি? আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে, বিগত ৭ বছরে ভারত সরকার হাজার হাজার ওয়েবসাইট ব্লক করেছে; এমনকি ইতিমধ্যে ভারতে কয়েকশো চাইনিজ অ্যাপ্লিকেশনও। এক্ষেত্রে, SFLC বা সফ্টওয়্যার ফ্রিডম ল সেন্টার ব্যবহার করে চীনকে এই ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গত ৭ বছরে বন্ধ করা হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি ওয়েবসাইট

পরিসংখ্যান বলছে যে, ভারত সরকার ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে প্রায় ৫৫,৫৮০টি ওয়েবসাইট ব্লক করেছে; এর মধ্যে ২৬,৪৭৪টি ওয়েবসাইট আইটি (IT) আইনের ৬৯এ ধারার অধীনে ব্লক হয়েছে, অন্যদিকে মেইটি (MEITY) বা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ব্লক করেছে ২৬,৩৫২টি ওয়েবসাইট। তবে শুধু ওয়েবসাইট নয়, ব্লক হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং অ্যাকাউন্টও। সরকারের মতে, ওয়েবসাইটগুলিকে কপিরাইট লঙ্ঘন, পর্নোগ্রাফি এবং শিশু নির্যাতনের মত কারণে বন্ধ করা হয়েছে; আর বন্ধ হয়ে যাওয়া সব অ্যাপ ইউজারদের ডেটা চুরি করত বলে অভিযোগ।

কেন ওয়েবসাইট ব্লক করা হয়?

ওয়েবসাইট, পোস্ট, অ্যাপ ব্লক করার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। যেমন এর মধ্যে রয়েছে ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিরক্ষার বিষয়, বৈদেশিক সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু ওয়েবসাইট বেআইনি কার্যকলাপ আইন ১৯৬৭ (ইউএপিএ)-এ নিষিদ্ধ সংস্থাগুলির সাথে যুক্ত থাকে৷ তাই তাদের ব্লক করা হয়।

শুধু তাই নয়, কোনো ওয়েবসাইট থেকে যদি ভুল প্রচার চালানো হয় এবং তার ফলে কোনো ক্ষতি হয়, তাহলেও সেসব ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ হয়। হয় কপিরাইট লঙ্ঘন, অশ্লীলতা, মানহানি, জনসাধারণের বিশৃঙ্খলা, আইনশৃঙ্খলা এবং আদালত অবমাননার কারণেও।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যানের ক্ষেত্রেও উপরের কারণগুলি প্রযোজ্য, তাছাড়া বারবার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি ইউজারদের ডেটা চুরি করে তা ভারতের বাইরে পাঠায়।