২০২৬ সালে ভারতের ২৭ শতাংশ মানুষের কাছে থাকবে 5G

নেটওয়ার্কের পঞ্চম প্রজন্ম অর্থাৎ 5G নিয়ে দেশ বিদেশে চর্চার শেষ নেই। বিশ্বের প্রায় সমস্ত রাষ্ট্র এই নেটওয়ার্ক ডেভেলপ করার চেষ্টায় আছে। এর মধ্যেই সোমবার সুইডিশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি Ericsson তাদের মোবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যাতে 5G-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য সামনে উঠে এসেছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৬ সাল অব্দি প্রতি ১০ টির মধ্যে ৪ টি মোবাইলে থাকবে 5G সংযোগ। আবার এই বছরের শেষ অব্দি গোটা বিশ্বের ১ বিলিয়ন মানুষ অর্থাৎ ১৫% জনসংখ্যা 5G নেটওয়ার্ক-যুক্ত অঞ্চলে বসবাস করবে। শুধু তাই নয়, ২০২৬ অব্দি গোটা বিশ্বের ৬০% জনসংখ্যা 5G নেটওয়ার্ক কভারেজের আওতায় চলে আসবে। সংখ্যার দিক দিয়ে যা প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন।

এরিকসনের রিপোর্ট থেকে এও উঠে এসেছে, ২০২০-এর শেষ অব্দি গোটা বিশ্বে 5G সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা ২২০ মিলিয়নে পৌঁছাবে। রিপোর্টে আরো জানা গেছে, ২০২৬-এর শেষ অব্দি ভারতে ২৭% মানুষের (৩৫০ মিলিয়ন) 5G সাবস্ক্রিপশন থাকবে। বাদবাকি তখনও ভারতের ৬৩% মানুষ নির্ভরশীল থাকবেন LTE প্রযুক্তির উপরেই।

এরিকসনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর ফলে ভারতে বাড়ি থেকে কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়াতে অনেকে 4G প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। এর ফলে স্মার্টফোন প্রতি গড় মাসিক মোবাইল ডেটা ব্যবহার বেশ কিছুটা বেড়েছে। পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার প্রয়োজনেও এই সময় মোবাইল নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল হয়েছে মানুষ। ফলত, স্মার্টফোন প্রতি গড় ডেটা ব্যবহার ২০১৯-এ মাসিক ১৩.৫ জিবি থেকে ২০২০-তে মাসিক ১৫.৭ জিবি হয়েছে। এরিকসনের মতে, “২০২৬ অব্দি স্মার্টফোন প্রতি গড় ডেটা ব্যবহার মাসিক ৩৭ জিবি অব্দি বাড়তে পারে।”

ভবিষ্যতে মোবাইল ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে এরিকসন। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-তে মোবাইল ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তির সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ ছিল ৬৭%। ২০২৬-এ এই পরিমাণ ৯১%-এ পৌঁছাতে পারে। অর্থাৎ সামগ্রিক ভাবে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা হতে পারে ১.২ বিলিয়ন।