Charging Technology: ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানীর নয়া আবিষ্কার, এবার মাত্র 1 মিনিটেই চার্জ হবে ফোন, ল্যাপটপ

ভারতের বিজ্ঞানীরা বরাবরই বিশ্বদরবারে নিজের এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন, তা সে স্বাধীনতার আগে হোক বা পরে। সেক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিনির্ভর সময়ে দাঁড়িয়ে অঙ্কুর গুপ্তা নামের…

ভারতের বিজ্ঞানীরা বরাবরই বিশ্বদরবারে নিজের এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন, তা সে স্বাধীনতার আগে হোক বা পরে। সেক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিনির্ভর সময়ে দাঁড়িয়ে অঙ্কুর গুপ্তা নামের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষক যে আবিষ্কার করেছেন, তার কথা শুনলে আপনার গর্ব তো হবেই পাশাপাশি চোখও কপালে উঠবে! আসলে এখন যেকোনো ধরণের ডিভাইস বা যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলে ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা চান, যে কারণে বিভিন্ন কোম্পানি সুপারফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি নিয়ে আসছে। কিন্তু যদি মাত্র ১ মিনিটে ফোন-ল্যাপটপ চার্জ হয়ে যায়, কেমন হবে ব্যাপারটা? কোনো অসম্ভব নয়, বরঞ্চ এই অদ্ভুত আবিষ্কারই করে বসেছেন গুপ্তা ও তার টিম।

আর ফোন বা ল্যাপটপ চার্জ দিতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবেনা

হালফিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক অঙ্কুর গুপ্তা এবং তার দল এমন একটি নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যা মাত্র ১ মিনিটে একটি ডেড অর্থাৎ একেবারে চার্জ নেই এমন অবস্থায় থাকা ল্যাপটপ বা ফোন চার্জ করে দেবে। শুধু তাই নয়, তাঁদের এই যুগান্তকারী আবিষ্কার মাত্র ১০ মিনিটে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি বা ই-কার (Electric Car) চার্জ করতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জার্নাল প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসে গুপ্তার গবেষণার বিশদ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। ওই জার্নাল অনুযায়ী, আয়ন কণাগুলি কীভাবে আণুবীক্ষণিক ছিদ্রগুলির একটি জটিল নেটওয়ার্কের মধ্যে সঞ্চালিত হয় সেই নিয়েই নাড়াচাড়া করেছেন ওই রিসার্চার। তাঁর মতে, এই আবিষ্কৃত প্রযুক্তির সাহায্যে সুপারক্যাপাসিটরের মতো আরও এফিসিয়েন্ট বা কাজের স্টোরেজ ডিভাইস বানানো যাবে।

ফলত, এটি কেবল যানবাহন এবং বৈদ্যুতিন ডিভাইসগুলিতে শক্তি সঞ্চয় করা বা দ্রুত শক্তি সাপ্লাই দেওয়ার জন্যই নয়, পাশাপাশি এনার্জির চাহিদার ওঠানামা চলতে থাকে এমন পাওয়ার গ্রিডের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ – যাতে করে কম চাহিদার সময় শক্তির অপচয় এড়ানো যায় এবং খুব বেশি চাহিদা থাকলে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করা যায়।

সুপারক্যাপাসিটার কী?

যারা জানেননা তাদের বলে রাখি, সুপারক্যাপাসিটার হল এমন এক শক্তি সঞ্চয়কারী ডিভাইস যা নিজের ছিদ্রে ছিদ্রে আয়ন সংগ্রহ করে রেখে কাজ করে। এগুলি ব্যাটারির চেয়ে দ্রুত চার্জিংয়ের সুবিধা অথচ দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ অফার করে। গবেষকরা দেখেছেন, সুপারক্যাপাসিটরগুলির সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হল স্পিড। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক গবেষণার আগে, লিটারেটরে আয়নগুলির গতি কেবল একটি সোজা ছিদ্রের প্রেক্ষিতে বর্ণনা করা হয়েছিল। তবে এখন নতুন আবিষ্কারটি কয়েক মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার আন্তঃসংযুক্ত ছিদ্রগুলির একটি জটিল নেটওয়ার্কে আয়নপ্রবাহের গতিবিধি কেমন, তা দেখবে।