Internet rate: আরও ব্যয়বহুল হতে চলেছে ইন্টারনেট, চাপ বাড়বে গ্রাহকদের পকেটে

এখনকার ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট ছাড়া দৈনিক জীবনযাপন এককথায় অচল বললেই চলে। বর্তমান দৈনন্দিন জীবনে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতোই এককথায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। বিশেষত সাম্প্রতিকালে…

এখনকার ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট ছাড়া দৈনিক জীবনযাপন এককথায় অচল বললেই চলে। বর্তমান দৈনন্দিন জীবনে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতোই এককথায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। বিশেষত সাম্প্রতিকালে করোনা পরিস্থিতির দরুন ওয়ার্ক ফ্রম হোম ও অনলাইন পঠনপাঠন, এবং সেইসাথে অবসর সময়ে OTT প্ল্যাটফর্মে আনাগোনা করার জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষই এখন এই অন্তর্জালের মায়ায় সারাদিন আচ্ছন্ন থাকছেন। এর ফলে ইন্টারনেটের চাহিদাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সেক্ষেত্রে আপনিও যদি রোজ অধিক ডেটা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য একটি খারাপ খবর রয়েছে! আসলে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রেক্ষাপটে রেখে মনে করা হচ্ছে যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম বর্তমানের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বাড়তে চলেছে।

একথা আমরা সবাই জানি যে, গত বছরের শেষের দিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় তিনটি বেসরকারি টেলিকম কোম্পানি (Reliance Jio, Airtel, এবং Vodafone Idea বা Vi) তাদের প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের দাম ২০%-২৫% পর্যন্ত বাড়িয়ে মধ্যবিত্তের পকেটে বেশ ভালোরকমের চাপ সৃষ্টি করেছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আগামী কয়েক মাসে এই চাপের পরিমাণ আরও অনেকটাই বাড়তে চলেছে। কিন্তু একথা শুনে আপনাদের নিশ্চয়ই এখন মনে হচ্ছে যে, এখনও পর্যন্ত তো কোনো কোম্পানিই ইন্টারনেটের দাম বাড়াবার কথা ঘোষণা করেনি, তাহলে আমরা হঠাৎ এরকম কথা বলছি কেন? আসুন তাহলে এর পিছনে কি কারণ রয়েছে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, লোকেরা এখন স্বাভাবিক ভয়েস কলিং খুবই কম পরিমাণে করে থাকে। এর একটি মূল কারণ হল নেটওয়ার্কের সমস্যা। বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় নেটওয়ার্ক জনিত একাধিক সমস্যার কথা প্রকাশ্যে এসেছে, যে কারণে কল করতে করতে মাঝখানে হঠাৎ কিছুক্ষণ বাদে তা কেটে যাওয়া এককথায় স্বাভাবিক ব্যাপার বললেই চলে। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের আবির্ভাবের দরুন ঝটপট মেসেজ লিখে সেন্ড করে দিয়েই এখন অধিকাংশ লোক কাজ সারেন। ফলস্বরুপ কলের ব্যবহার কমে গিয়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সার্ভে করে দেখা গেছে যে, ৩০-৪০ শতাংশ মানুষই এখন সাধারণ কলিংয়ের পরিবর্তে WhatsApp কলিংয়ের মাধ্যমে একে অপরের সাথে কথা বলেন। আর বর্তমান যুগে ইন্টারনেটের বহুল প্রাচুর্যতার ফলে এই ধরনের কলিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, ইন্টারনেটের ব্যবহার যেহেতু আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে, তাই এখন কোম্পানিগুলিকে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ইন্টারনেট সাপ্লাইও করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিষেবার মান উন্নত রাখতে গেলে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ইন্টারনেটের দাম আবশ্যিকভাবে বাড়াতে হতে পারে, এবং বাড়লে সেটা বেশ ভালো পরিমাণেই বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।