১ সেকেন্ডে ডাউনলোড হবে ৩ লক্ষ সিনেমা, ইন্টারনেট স্পিডে বিশ্ব রেকর্ড করল জাপান

আগের রেকর্ড বেশিদিন টিকলো না। সর্বোচ্চ ইন্টারনেট গতির পুরনো রেকর্ডের ১ বছর সম্পূর্ণ না হতেই তা ভেঙে দিল জাপানের ‘ন্যাশন্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি’। জাপানের এই প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা তিন হাজার কিমির বেশি বিস্তৃত এক অপটিক ফাইবারে প্রতি সেকেন্ডে ৩১৯ টেরাবাইট গতিতে ডেটা স্থানান্তর করতে পেরেছেন। অর্থাৎ, জাপানের এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি সেকেন্ডে ৩১৯ টেরাবাইট ইন্টারনেট গতি অর্জন করতে পেরেছে।

১০২৪ মেগাবাইটে হয় ১ গিগাবাইট। আর ১০২৪ গিগাবাইটে হয় ১ টেরাবাইট। তাহলে ৩১৯ টেরাবাইট মানে ৩২৬৬৫৬ গিগাবাইট এবং ৩৩৪৪৯৫৭৪৪ মেগাবাইট (বাইনারি)। প্রতি সেকেন্ডে এই পরিমাণ ইন্টারনেট গতির অর্থ – মাত্র ১ সেকেন্ডে লো রেজোলিউশনের ৩ লাখ সিনেমা ডাউনলোড করা যাবে। আর হাই রেজোলিউশন সিনেমার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা কমে হবে ৫৭ হাজার।

এর আগে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ ১৭৮ টেরাবাইট/সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ইন্টারনেট গতির রেকর্ড গড়েছিল। আবার লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের আগে অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা ফোটোনিক চিপ ব্যবহার করে ইন্টারনেট গতি ৪৪.২ টিবিপিএসে (টেরাবাইট পার সেকেন্ড) পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, মোবাইল নেটওয়ার্কের চেয়ে তারের মাধ্যমে আসা ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই বেশি। তারের মাধ্যমে বিপুল গতিতে ডেটা স্থানান্তর করতে পারলেও তারবিহীন অবস্থায় সে কাজ অনেকটাই কঠিন।

ভারতে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে অবশ্য গর্ব করে বলার মতো কিছু নেই। গত বছরের গ্লোবাল মোবাইল ইন্টারনেট স্পিডের তালিকায় ১৩৮ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ১৩১ নম্বরে। মোবাইল পরিষেবায় বিশ্বব্যাপী গড় ডাউনলোডের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৫.২৬ মেগাবাইট, ভারতে যা ১২.০৭ মেগাবাইট/সেকেন্ড। এমনকি, ইন্টারনেট স্পিডে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো দেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন