জিও-ফেসবুক চুক্তি বৈধ কিনা খতিয়ে দেখছে প্রতিযোগিতা কমিশন

ভারতের অ্যান্টিট্রিট ওয়াচডগ বর্তমানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ১০% অংশীদারিত্বের সমীক্ষা করছে যা কিছুদিন আগে ফেসবুক অধিগ্রহণ করেছিল। এই চুক্তি আমেরিকার অন্যতম বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে বিশ্বের সব থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকা ইন্টারনেট মার্কেটে একটি ভালো জায়গায় পৌঁছে দেবে। কিন্তু এই চুক্তি নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে কমিশন।

ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন ওই সমস্ত চুক্তির তথ্যের দুর্ব্যবহার প্রতিরোধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অধ্যক্ষ অশোক কুমার গুপ্তা একটি ইমেইল সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ফেসবুক-জিও লেনদেন সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর বর্তমানে পরীক্ষা চলছে, যাতে তারা পরবর্তীকালে এই বিষয় নিয়ে আলোকপাত করতে পারে। বর্তমানে নিয়ন্ত্রক এই মূল্যায়নের মানদণ্ডে নতুন প্যারামিটারগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কিনা সে বিষয়ে বিবেচনা করছে।

গুপ্তা কোনরকম অন্য কোম্পানির নাম উল্লেখ না করে জানিয়েছেন,” শক্তিশালী নেটওয়ার্কের এফেক্ট, উন্নত রিটার্ন, এবং প্রচুর পরিমাণে ডেটার অ্যাক্সেস যেকোনো কোম্পানিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী আচরণ করতে বাধ্য করতে পারে”

মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও প্ল্যাটফর্মে পৃথিবীর সবথেকে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তবে শুধু ফেসবুক নয় অন্যান্য কোম্পানির দ্বারা জিও তে মোট বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই চুক্তির পর এশিয়ার ধনীতম ব্যবসায়ী নিজের ঋণ কিছুটা কম করতে পারবে এবং ভারতে অ্যামাজন প্ল্যাটফর্ম এর মত একটি শক্তিশালী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারবে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে পাঠানো অ্যাপ্লিকেশনে ফেসবুক জানিয়েছে যে, এই চুক্তিটি কোনও প্রাসঙ্গিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরিবর্তন করে না। রেগুলেটরি ফাইলিংগুলি দেখায় ফেসবুক এবং এর ইউনিট হোয়াটসঅ্যাপ জিওতে বিনিয়োগের অংশ হিসাবে একটি ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস স্থাপনের প্রস্তাব করেছে।

এদিকে গুপ্তা জানাননি তারা কতদিনের মধ্যে চুক্তি সঠিক কিনা জানাবে। ভারতীয় আইন অনুসারে, কমিশন যদি এই চুক্তির বিষয়ে ২১০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে এটি অনুমোদিত হবে।

তথ্য : Bloomberg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *