Kia EV6: কিয়া-র প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি ভারতে লঞ্চ হবে 2 জুন, ফুল চার্জে চলবে 500 কিমির বেশি

শোনা যাচ্ছিল, জুনেই হতে পারে অপেক্ষার অবসান। আর হলও তাই৷ কিয়া ভারতে তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চের দিন ঘোষণা করল। Kia EV 6 এদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে পা রাখছে আগামী ২ জুন। ফিউচারিস্টিক ডিজাইনের ইলেকট্রিক ক্রসওভার এসইউভি গাড়িটির অগ্রিম বুকিং শুরু হবে ২৬ মে। সম্পূর্ণ তৈরি করে ভারতে আমদানি করা হবে এটি। চলতি বছর বাজারে মিলবে মাত্র একশোটি‌। Kia EV 6-এর দাম ৫০-৬০ লাখ টাকার মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

গ্লোবাল মার্কেটের মতো Kia EV6 ভারতীয় বাজারে RWD ও AWD ভ্যারিয়েন্টে লঞ্চ হতে পারে‌। ব্যাটারি অপশন দু’টি। ৫৮ কিলোওয়াট আওয়ার ক্যাপাসিটির ব্যাটারি অপশনটি হয়তো লঞ্চের সময় থাকবে না। রিপোর্ট অনুযায়ী, তার পরিবর্তে আরও  ব্যাটারি ভ্যারিয়েন্ট বিক্রি করা হবে।

Kia EV 6 ব্যাটারি, রেঞ্জ, চার্জিং টাইম

ফাঁশ হওয়া ব্রোশার অনুযায়ী, কিয়া ইভি ৬-এ ৭৭.৪ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক থাকবে।। ব্যাপক শক্তিশালী ব্যাটারির কারণে সম্পূর্ণ চার্জে গাড়িটি ৫২৮ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারবে বলে দাবি করা হয়েছে। আবার ব্যাটারিতে উপলব্ধ আল্ট্রা ফাস্ট চার্জিং অপশন। ১০০ কিমি পথ চলার জন্য প্রয়োজনীয় চার্জ ৪.৫ মিনিটের মধ্যেই হয়ে যাবে। ৫০ কিলোওয়াট ও ৩৫০ কিলোওয়াট ডিসি ফাস্ট চার্জার পাওয়া যাবে এর সাথে। যা দিয়ে ১০-৮০% চার্জ করতে যথাক্রমে ১৮ মিনিট ও ৭৩ মিনিট সময় লাগবে।

Kia EV 6 মোটর, পাওয়ার, টর্ক

সিঙ্গেল ও ডুয়েল মোটর ভ্যারিয়েন্টে ভারতে আসবে কিয়া ইভি৬। রিয়ার হুইল ড্রাইভ বা RWD-এর ক্ষেত্রে গাড়ির পিছনে একটা মোটর থাকবে। যা ২২৯ পিএস পাওয়ার এবং ৩৫০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করবে। আর অল হুইল ড্রাইভ বা AWD-এর ক্ষেত্রে সামনে ও পিছনে একটি করে মোটর থাকবে। যার আউটপুট ৩২৫ পিএস ও ৬৫০ এনএম। কিয়া ইভি৬ ঘন্টায় ০-১০০ কিমি গতি তুলতে ৩.৫ সেকেন্ডে সময় নেবে।

Kia EV6 কালার অপশন ও ফিচার

লিক হওয়া ব্রোশার থেকে জানা গিয়েছে, এ দেশে স্নো হোয়াইট পার্ল, অরোরা ব্ল্যাক পার্ল, মনোস্কেপ, রানওয়ে রেড ও ইয়ট ব্লু পেইন্ট অপশনে মিলবে কিয়া ইভি৬। বিশেষ ফিচারগুলির মধ্যে থাকবে ডুয়েল ১২.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, মাল্টি ড্রাইভ মোড, ওয়্যারলেস স্মার্টফোন চার্জার, ৬০+ কিয়া কানেক্ট ফিচার, চারটি স্পিকার, অগমেন্টেড রিয়েলিটি হেডস আপ ডিসপ্লে, ৮টি এয়ারব্যাগ, রিয়ার পার্কিং সেন্সর, ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন-সহ নানা অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম।